প্রথমবারের মতো নৌড্রোনের সাহায্যে রুশ হেলিকপ্টার ধ্বংসের দাবি করল ইউক্রেন
কৃষ্ণসাগরে একটি নৌড্রোন (চালকবিহীন জলযান) ব্যবহার করে রাশিয়ার একটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার আরেকটি হেলিকপ্টারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা গতকাল মঙ্গলবার এমন দাবি করেছে।
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জিইউআর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ক্রিমিয়ার পশ্চিম উপকূলে কেপ তারখানকুতের কাছে লড়াই চলার সময় ক্ষেপণাস্ত্রবাহী মাগুরা ভি ফাইভ সামুদ্রিক ড্রোন রাশিয়ার এমআই-৮ হেলিকপ্টারকে আঘাত করে।
জিইউআরের দাবি, এই প্রথম ইউক্রেনের নৌবাহিনীর ড্রোন আকাশপথের কোনো নিশানাকে ভূপাতিত করেছে। তবে ইউক্রেনের এমন দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
হেলিকপ্টার ধ্বংস হওয়ার বিষয়ে মস্কো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তাঁদের ব্ল্যাক সি ফ্লিট নামের নৌবহর চালকবিহীন আটটি ড্রোনজাহাজ ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের নৌবাহিনীর ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত হওয়ার ঘটনাটি প্রখ্যাত রুশ সামরিক ব্লগার ভোয়েনি অসভেদোমিতেলও উল্লেখ করেছেন। জিইউআর বলেছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দ্বিতীয় রুশ হেলিকপ্টারটি বিমানঘাঁটিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
জিইউআর প্রকাশিত ঝাপসা ফুটেজে দেখা গেছে, পানির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি হেলিকপ্টারকে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করছে। হামলার পর উড়োজাহাজটিকে পড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে পুরোদমে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পর থেকে ইউক্রেন জোরেশোরে ড্রোন উৎপাদন শুরু করে। তারা নৌবাহিনীর ড্রোনও তৈরি করে।
সাধারণত রাশিয়া–নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রুশ যুদ্ধজাহাজ এবং স্থাপনায় হামলা চালাতে কিয়েভের সেনাবাহিনী সামুদ্রিক ড্রোন ব্যবহার করে থাকে কিয়েভের সেনাবাহিনী।
ইউক্রেন বলেছে, নৌবাহিনীর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেভাস্তোপলে রাশিয়ার প্রধান নৌঘাঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রুশ নৌবহর ব্ল্যাক সি ফ্লিট তাদের প্রায় সব যুদ্ধজাহাজকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।