গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের মৃত্যু
গ্রিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি জঙ্গল থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রশাসনের কাছে কারও নিখোঁজ হওয়ার খবর ছিল না। এসব মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দাবানলে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন।
যে অঞ্চল থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি জাতীয় বনভূমি। তুরস্ক সীমান্তের খুব কাছে এই বনভূমির অবস্থান। তুরস্কের রাস্তা দিয়ে তাঁরা অবৈধভাবে ওই জঙ্গলে ঢুকেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশটিতে দাবানলের জেরে সম্প্রতি ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো গতকাল। এথেন্সের উত্তরের একটি জঙ্গল থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনিও অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। একজন মেষপালকের দেহও উদ্ধার করা হয়েছে। গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
উত্তর-পূর্ব গ্রিস, এভিয়া ও কাইথোনস অঞ্চলে আগুন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আটটি গ্রাম ও শহরের হাসপাতাল খালি করে দেওয়া হয়েছে। রোগীদের অন্য শহরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই বন্দর শহর কাভালার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদের আরও দূরের শহরে পাঠানো হয়েছে। একাধিক দ্বীপ থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে আলেকজান্দ্রো পলিসের নার্স নিকস বলেছেন, ‘২৭ বছর ধরে কাজ করছি। এ পর্যন্ত এমন ঘটনা দেখিনি। এ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। মনে হচ্ছে বোমা ফেটেছে, যুদ্ধ চলছে।’
এথেন্সের খুব কাছে পৌঁছে গেছে আগুন। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, এখনই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কয়েক বছর ধরে গরম পড়লেই আগুন লাগছে ইউরোপের জঙ্গলে। তবে এবার গ্রিসে যেভাবে আগুন লেগেছে, অন্যবারের চেয়ে তার মাত্রা কয়েক গুণ বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।