হিটলারের জন্মভিটায় হচ্ছে থানা
নাৎসি একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের আঁতুড়ঘর বা জন্মভিটা থানায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রিয়া সরকার। স্থানটি নব্য নাৎসিদের আরাধ্য স্থানে পরিণত হওয়ার শঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
তবে অস্ট্রিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ, এক নথি থেকে জানা গেছে, হিটলারের ইচ্ছা ছিল, তাঁর জন্মভিটা স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে রূপান্তর হোক।
হিটলারের জন্মভিটা ব্যক্তিমালিকানা থেকে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিতে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়েছে অস্ট্রিয়া সরকার। ৮০০ বর্গমিটারের এই স্থানে বর্তমানে কৌণিক আকারের একটি ভবন রয়েছে। সরকার এটিকে থানা ও পুলিশের জন্য মানবাধিকারবিষয়ক প্রশিক্ষণাগারে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ জন্য ব্যয় হতে পারে দুই কোটি ইউরোর মতো। ১১৯ টাকা হারে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৩৮ কোটি টাকা।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ অক্টোবর ভবনের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আর কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল। ২০২৬ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ স্টেশন (থানা) হিসেবে চালুর কথা।
হিটলারের জন্মভিটার ওপর চলতি মাসের শেষের দিকে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার গুইনটা শোআইগা। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। সেখানে তিনি বলেন, ১৯৩৯ সালের ১০ মে প্রকাশিত স্থানীয় একটি পত্রিকার নিবন্ধে দেখা যায়, হিটলার ইচ্ছা পোষণ করে গেছেন যেন তাঁর আঁতুড়ঘর জেলা প্রশাসনের কার্যালয় হয়। তিনি বলেন, থানা ভবন হিসেবে স্থানটি ব্যবহৃত হলে আদতে হিটলারের মনোবাসনাই পূরণ করা হবে।
তবে অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যে যা–ই বলুক না কেন, তাঁরা নকশা অনুযায়ী নতুন ভবনের কাজ এগিয়ে নেবেন।
হিটলার ১৮৮৯ সালে অস্ট্রিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর ব্রাউনাউ শহরের ছোট্ট এই বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তবে এখানে তাঁর খুব অল্প সময় থাকা হলেও বিশ্বব্যাপী তাঁর অনুসারীদের মধ্যে এই বাড়ির প্রতি ভিন্ন ছাপ রয়েছে।