মন্ত্রীর ওপর চটলেন পুতিন
নতুন বছরের প্রথম সভাতেই মেজাজ হারালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী দেনিস মানতুরভকে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেছেন তিনি। রুশ টিভিতে প্রচারিত ভিডিও কলের বরাত দিয়ে বিবিসি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বেসামরিক ও সামরিক উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দিতে আমলাতান্ত্রিক দেরির জন্য কয়েক মিনিট ধরে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীকে বকাঝকা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘অনেক বেশি, অনেক বেশি সময় নেওয়া হচ্ছে।’
পুতিন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীকে বলেন, ‘কেন আপনি ভাবলেশহীন অলস সময় কাটাচ্ছেন? চুক্তিগুলো কখন সই হবে?’
একই দিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শীর্ষ কমান্ডার বদলান পুতিন। মাত্র তিন মাস আগে এ পদে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর টানা কয়েকটি পিছু হটার ঘটনার পর জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে গত বছরের অক্টোবরে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি আগের জায়গায় ফেরাতে ব্যর্থ হন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সেনাবাহিনীর চিফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে।
রুশ টিভিতে প্রচার করা ভিডিও কলে দেখা যায়, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় নিজের মন্ত্রীদের প্রশংসা করছেন পুতিন। কিন্তু বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী যখন এসব উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার ও নৌযান কেনার বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরছিলেন, তখন তিনি বারবার তাঁকে থামিয়ে দিচ্ছিলেন।
পুতিন অভিযোগের সুরে বলেন, ‘হেলিকপ্টারসহ এই ৭০০ উড়োজাহাজ... প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে বিষয়গুলো আপনার যাচাই-বাছাই করা উচিত... কয়েকটি কোম্পানি এখন পর্যন্ত ক্রয়াদেশ পায়নি।’
মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তবে পুতিন তাতে শান্ত হননি।
পুতিন বলেন, ‘না, এক মাসের মধ্যেই এটা করবেন। আপনি কি বুঝতে পারছেন না, আমরা কোন পরিস্থিতির মধ্যে আছি? এটা এক মাসের মধ্যে শেষ হওয়া প্রয়োজন, পরে নয়।’
২০১২ সাল থেকে পুতিনের মন্ত্রিসভার অনুগত সদস্যদের একজন মানতুরভ। দেশে ও দেশের বাইরে নিয়মিত পুতিনের সফরসঙ্গী হন তিনি। যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে গত গ্রীষ্মে তাঁকে রাশিয়ার সমরাস্ত্রশিল্পের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়।