‘সব ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে’ আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার মধ্যে চার্জ দিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে ইউক্রেনের জাতীয় জ্বালানি কোম্পানি। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে লোডশেডিংয়ের শঙ্কা থেকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
গতকাল বুধবারও ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে আঘাত হেনেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ১০ অক্টোবর থেকে চালানো এ ধরনের ব্যাপক হামলারই অংশ।
বিদ্যুৎ সঞ্চালক কর্তৃপক্ষ ইউক্রেনেরগো বলছে, বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা চার ঘণ্টা পালাক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ জন্য ফোন, পাওয়ার ব্যাংক, টর্চ ও ব্যাটারি চার্জ দিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছে কোম্পানিটি।
সঞ্চালক কোম্পানিটি ইউক্রেনীয়দের পানি মজুত করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে পরিবার ও বন্ধুদের জন্য উষ্ণ মোজা ও কম্বল রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনেরগো বলছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়া যতগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল, গত ১০ দিনে তার চেয়ে বেশি বৈদ্যুতিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
কোম্পানিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা নিয়ন্ত্রিত, নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবহারের বিধিনিষেধ প্রয়োগ করব। একটি ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা কাজ করছে, তা নিশ্চিতে আমাদের এটা করতে হবে।’
ইউক্রেনেরগো বলেছে, এই বিধিনিষেধ সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কার্যকর হবে। তবে কোনো এলাকায় ঠিক কখন তা প্রয়োগ করা হবে, আঞ্চলিক সঞ্চালক কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকে তা জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের।
ইতিমধ্যেই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। সম্মুখযুদ্ধ থেকে অনেক দূরে পশ্চিমাঞ্চলীয় লিভিভসহ গোটা ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বৈদ্যুতিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনেরগো বলেছে, ‘শীতের আবহাওয়া শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রায়ই আপনাদের সাহায্য চাইব। বিষয়টি আমরা নাকচ করে দিচ্ছি না।’