ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের সেবার মান নিয়ে বার্লিনে প্রতিবাদ
পারিবারিক ভিসা নিয়ে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের খামখেয়ালির অভিযোগে জার্মানিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার বার্লিনে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে এই মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে অংশ নেন বাংলাদেশে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে জার্মান সরকারের অমানবিক ভিসাচর্চার নিন্দা করেছেন। পরে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা।
স্মারকলিপিতে ঢাকার জার্মান দূতাবাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাঁরা বলেন, ‘আমরা ফ্যামিলি রি–ইউনিয়ন ভিসা আবেদনকারীরা বৈধভাবে জার্মানিতে বসবাস ও কাজ করছি। জার্মান আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের জার্মানিতে নিয়ে আসার অধিকারী। অথচ ঢাকায় জার্মান দূতাবাস বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে খামখেয়ালি করছে।’
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, আগে তাঁদের স্বামী, স্ত্রী বা সন্তানেরা জার্মানিতে আসার আবেদন করলে ঢাকার জার্মান দূতাবাসে প্রাথমিক সাক্ষাতের জন্য পাঁচ থেকে চয় মাস অপেক্ষা করতে হতো। এখন তা আরও বেশি সময়ে গড়িয়েছে। দূতাবাসে কারণ জানার চেষ্টা করা হলেও স্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয় না।
এর আগে জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে কর্মচারীস্বল্পতার জন্য বেশি সময় লাগছে। পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে ১৬ অক্টোবর থেকে নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পারিবারিক ভিসা প্রক্রিয়ার বিষয়টি দ্রুত করা হবে।
জার্মানির মৌলিক আইনের ৬ অনুচ্ছেদের অধীনে পরিবার ও রাষ্ট্রের ব্যবস্থায় বিবাহ ও পরিবারকে রাষ্ট্রের বিশেষ সুরক্ষার অধীনে রাখা হয়েছে। অথচ এটা হতাশাজনক যে দূতাবাস এই পারিবারিক আইনের প্রতি অবজ্ঞা করছে।
জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তরে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘অনুগ্রহ করে ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করাসহ আবেদনকারীদের ভিসার বিষয়ে অগ্রগতি এবং পদ্ধতিগত অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য প্রদান করুন।’
মানববন্ধন শেষে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন তাঁরা। সাক্ষাৎকালে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া স্মারকলিপির একটি অনুলিপি রাষ্ট্রদূতকে দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে জার্মানিতে অবস্থারত প্রায় ২০০ ভুক্তভোগী ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন।