জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে ‘হামলাকারী’ সৌদি আরব থেকে এসেছিলেন

জার্মানির সাক্সেন-আনহাল্ট রাজ্যে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ হামলার পর ঘটনাস্থলে যান উদ্ধারকারীরা। গতকাল ম্যাগডেবুর্গ শহরেছবি: রয়টার্স

জার্মানির সাক্সেন-আনহাল্ট রাজ্যে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ (বড়দিন উপলক্ষে বসা বাজার) ভিড়ের মধ্যে এক ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে যান। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাজ্যের ম্যাগডেবুর্গ শহরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সৌদি আরব থেকে জার্মানিতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।

হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেইনার হ্যাসেলফ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া গাড়ি হামলায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।

জার্মানির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর নাম এ তালেব। পেশায় তিনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। বসবাস করেন ম্যাগডেবুর্গ থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে বার্নবুর্গ শহরে। ২০০৬ সালে তিনি সৌদি আরব থেকে জার্মানিতে আসেন। পরে ২০১৬ সালে দেশটিতে তাঁকে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলের তথ্য অনুযায়ী, এ তালেব সম্পর্কে জার্মান কর্তৃপক্ষকে এরই মধ্যে তিনবার সতর্ক করেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত। তবে কী কারণে তিনি হামলা চালিয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

একই কথা বলেছেন জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার। বিবিসির খবরে বলা হয়, ন্যান্সি ফেসার জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীর ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব রয়েছে। তবে এর বেশি কিছু তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

গতকাল সন্ধ্যায় ম্যাগডেবুর্গ শহরে ‘ক্রিসমাস মার্কেটে’ থাকা মানুষের মধ্য দিয়ে প্রায় ৪০০ মিটার পথ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান এক ব্যক্তি। তখন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর আতঙ্কে জার্মানির নানা শহরে ‘ক্রিসমাস মার্কেটগুলো’ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে হামলার পর জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ নিন্দা জানিয়েছেন। ম্যাগডেবুর্গ শহরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি বলেন, এমন বর্বরতার মাধ্যমে এত মানুষকে হত্যা ও আহত করার ঘটনা ভয়ানক অপরাধ। তিনি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। পরে তিনি ম্যাগডেবুর্গের সেন্ট জন চার্চে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন।

আরও পড়ুন