ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। সেখানে তাদের সাহায্য করছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর ড্রোন বিশেষজ্ঞরা। সেনাদের ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দাবি করেছে। এদিকে কিয়েভের দাবি, ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করছি, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার যেসব সেনা আছেন, তাঁরা ইরানের ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে কিয়েভে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।’ নেড প্রাইস আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ইরানের ড্রোন বিশেষজ্ঞরা ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন অভিযোগ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান। তবে তেহরান এর আগে বলেছে, রুশ বাহিনীর ব্যবহৃত এই ড্রোন ইরানের তৈরি নয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। রাশিয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের ড্রোন তৈরির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ইরানের ‘কামিকাজে’ ড্রোন দিয়ে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়েছে। দুই শতাধিক ড্রোন ভূপাতিত করার দাবিও করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে রাশিয়া। এরপর দ্বীপটিকে রাশিয়ার অংশ করে নেয়। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণ ও সোভিয়েত আমলের সামরিক ঘাঁটি আবারও সচল করার জন্য এই উপদ্বীপকে ব্যবহার করছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার সেনাদের এই ক্রিমিয়া দিয়েই ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডে পাঠানো হচ্ছে।
ইউক্রেন–ইসরায়েল আলোচনা
আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ইরানের ড্রোন নিয়ে রুশ বাহিনী যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, সে কথাও আমি তাঁকে জানিয়েছি। আমরা ইসরায়েলের কাছে আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চেয়ে অনুরোধ করেছিলাম। বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছে।’