তুরস্ক থেকে অস্ত্র কেনার চেষ্টা করেছে ভাগনার গ্রুপ
ভাগনার গ্রুপের পরিচয় পুতিনের ভাড়াটে সেনা হিসেবে। এ গ্রুপের সেনারা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বাধীন সামরিক গ্রুপটি তুরস্কের কাছ থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার চেষ্টা করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নথিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ভাগনার গ্রুপ। এ জন্য তুরস্কের কাছ থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার চেষ্টা করেছে গ্রুপটি। এ জন্য গ্রুপটির সদস্যরা গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে তুরস্কের সঙ্গে দেখা করে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার অভিপ্রায়ের কথা জানান।
এই দেখা-সাক্ষাতের বিষয়ে তুরস্ক সরকার অবগত ছিল বলেও ফাঁস হওয়া মার্কিন নথি সূত্রে জানা গেছে। তবে ভাগনার গ্রুপের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার অভিপ্রায় নিয়ে পরবর্তী সময় তুরস্ক সরকার চিন্তাভাবনা করেছে বা বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে, এমন কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে এ নথির তথ্য সিএনএনের পক্ষ থেকে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সংবাদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দপ্তর এবং ওয়াশিংটনে তুরস্কের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক। চলমান যুদ্ধে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর সদস্যদেশগুলো ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। দেশটিকে অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা দিচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে তুরস্ক।
এ ছাড়া তুরস্কের মাটিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এই ঘাঁটিতে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ করা আছে। এটা ন্যাটো সদস্যদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিরোধে একটি সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে। একই কারণে তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটোর, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কৌশলগতভাবে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ।
ফাঁস হওয়া মার্কিন নথিতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ভাগনার গ্রুপ সেনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। এ জন্য গ্রুপটি রাশিয়ার কারাগার থেকে বন্দীদের নিয়োগপ্রক্রিয়া আবারও শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।