গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে তুরস্কে ৭ শ্রমিক জিম্মি, ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের বাইরে প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের (পিঅ্যান্ডজি) একটি কারখানা থেকে সাত জিম্মি শ্রমিককে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শ্রমিকদের জিম্মিকারী সশস্ত্র ব্যক্তিকে আটক করেছে তুরস্কের পুলিশ। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি (জিম্মিকারী) দৃশ্যত গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে এ কাজ করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান পরিস্থিতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন।
স্থানীয় গভর্নর সেদ্দার ইয়াভুজ বলেন, কারখানার জিম্মি শ্রমিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে জিম্মিকারীকে অক্ষত অবস্থায় আটক করেছে।
কারখানাটি তুরস্কের কোকেলি প্রদেশের গেবজে শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত। তুরস্কের ডিএইচএ নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে জিম্মিকারী কারখানায় প্রবেশ করেন। মধ্যরাতের কিছু আগে জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব হয়।
স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, জিম্মিকারীর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান শুরু করে।
অনলাইনে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবিতে সন্দেহভাজন জিম্মিকারীকে দেখা গেছে। তাঁর মুখ ফিলিস্তিনি স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা। তাঁর পরনে বিস্ফোরক জ্যাকেটের মতো কিছু একটা দেখা যায়। তাঁর হাতে ছিল একটি বন্দুক।
কারখানা ভবনের প্রবেশপথে একটি ফিলিস্তিনি পতাকা আঁকা দেখা গেছে। সেখানে লেখা, ‘গাজার জন্য দরজা খোলা থাকবে।’
পিঅ্যান্ডজির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় কারখানার কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক তদন্ত চলছে।