জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব রাশিয়ার পাওয়ার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখে একটি চড় হিসেবে অভিহিত করেছে ইউক্রেন।
গতকাল শনিবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা এ মন্তব্য করেন। চলতি এপ্রিল মাসের জন্য গতকালই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া যাতে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিতে না পারে, সে জন্য সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু ইউক্রেনের এ আহ্বান কোনো কাজে আসেনি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্যদেশ প্রতি মাসে পালাক্রমে সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে থাকে। রাশিয়া সবশেষ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ মাসেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ অভিযান এখনো চলছে। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
মস্কোর দায়িত্বের শুরুর দিন দিমিত্র কুলেবা বলেন, সভাপতি পদের অপব্যবহারের যেকোনো রুশ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন।
টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে দিমিত্র কুলেবা রাশিয়াকে ‘অপরাধী’ হিসেবে অভিহিত করেন।
চলতি মাসের শেষ দিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ‘কার্যকর বহুপাক্ষিকতাবাদ’ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, সের্গেই লাভরভ ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে অনুষ্ঠেয় একটি বিতর্কে নেতৃত্ব দেবেন।
রাশিয়ার ভূমিকা ও নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির স্থায়ী সদস্যপদের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে গত শুক্রবার বলেন, যে দেশ সুস্পষ্টভাবে জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে, তার প্রতিবেশীকে আক্রমণ করে, নিরাপত্তা পরিষদে তার কোনো স্থান নেই।
কারিন জ্যঁ-পিয়েরে আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের একটি স্থায়ী সদস্য। আর এ বাস্তবতা পরিবর্তনের জন্য কোনো সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক আইনি পথ বিদ্যমান নেই। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিকে অনেকটা আনুষ্ঠানিক পদ বলে অভিহিত করেন।
দিমিত্র কুলেবা আগে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হওয়ার বিষয়টিকে একটি ‘বাজে রসিকতা’ বলে অভিহিত করেন।