রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আটক করতে বিদ্রোহ করেছিলেন ভাগনারপ্রধান
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে পাকড়াও করতে বিদ্রোহ করেছিলেন ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। পশ্চিমা নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম এই খবর প্রকাশ করেছে।
রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে গত শনিবার বিদ্রোহ করে ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপ। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোশিনের সঙ্গে ক্রেমলিনের চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুসারে তিনি বেলারুশে গেছেন।
পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল সের্গেই শোইগু ও জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের। এই দুজনকে আটক করতে বিদ্রোহের পরিকল্পনা করেন প্রিগোশিন। তবে বিদ্রোহের দুই দিন আগে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে জেনে যায় রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। পরে এফএসবির চাপে ঠিক শেষ মুহূর্তে প্রিগোশিন পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে বাধ্য হন এবং মস্কোর অভিমুখে আসতে থাকেন ভাগনার যোদ্ধারা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউরোপের দুটি নিরাপত্তা সূত্র সিএনএনকে জানায়, প্রিগোশিন হয়তো রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের আটকের বাসনা প্রকাশ করেছিলেন। তবে সামরিক নেতৃত্বকে পাকড়াও করতে শক্তিশালী কোনো পরিকল্পনা ছিল না—সে জন্য তাঁর এই সক্ষমতা ছিল কি না, তা আসলে মূল্যায়ন করা যায়নি।
শনিবারের ওই বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। দুবারই তিনি ভাগনার যোদ্ধাদের প্রশংসা করেছেন। তবে প্রিগোশিনকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন তিনি। বিদ্রোহের কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে।