অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় চুক্তি চূড়ান্ত করেছে তিউনিসিয়া ও ইইউ

সাম্প্রতিক সময়ে তিউনিসিয়া দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী শরণার্থী-অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে
ফাইল ছবি: এএফপি

অভিবাসনসংক্রান্ত একটি চুক্তি গতকাল রোববার চূড়ান্ত করেছে তিউনিসিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

উভয় পক্ষ অভিবাসন বিষয়ে কৌশলগত ও ব্যাপক অংশীদারত্বের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা করা। পাশাপাশি তিউনিসিয়া ও ইইউর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো।

ইউরোপমুখী শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি বড় রুট তিউনিসিয়া। সাম্প্রতিক সময়ে তিউনিসিয়া দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল অভিবাসন ইস্যুতে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ডাচ্‌ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বক্তব্যকালে উরসুলা এই সমঝোতাকে স্বাগত জানান। তিনি এই সমঝোতাকে উভয় পক্ষের সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বিনিয়োগ হিসেবে অভিহিত করেন।

সাইদ বলেন, ‘অমানবিক অভিবাসন’ ইস্যুতে একটি সম্মিলিত চুক্তি খুব দরকার। অমানবিক অভিবাসনের জন্য তিনি অপরাধী চক্রকে দায়ী করেন।

রুটে বলেন, এই সমঝোতা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবে।অভিবাসন সংকট মোকাবিলার একটি নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে এই সমঝোতাকে স্বাগত জানান মেলোনি।

২৩ জুলাই অভিবাসনসংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট সাইদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।