রাশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন পুতিন
রাশিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ইউক্রেনে দখলকৃত অঞ্চলগুলোসহ নিজ দেশের ভোটারদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি; যদিও নির্বাচনে তাঁর জয় নিশ্চিত।
আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘আমাদের ঐক্য, দৃঢ়সংকল্প ও একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ওপর মনোযোগ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি আমি।’
নির্বাচনে দুজন প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একই প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করছিলেন তাঁরা। মস্কো এ যুদ্ধকে ইউক্রেনে তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে।
রাশিয়ায় ২০০০ সাল থেকে হয় প্রধানমন্ত্রী, না হয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন (৭১)। কাল শুক্রবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তিনজন। তবে তাঁরা কেউই পুতিনের সমালোচনা করেননি।
বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুযায়ী, পুতিনকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সমর্থন করছেন। গত মাসে এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, তাঁর প্রতি ৭৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে।
নির্বাচনে দুজন প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একই প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা করছিলেন তাঁরা। মস্কো এ যুদ্ধকে ইউক্রেনে তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে।
ভাষণে পুতিন বলেন, ‘জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও উন্নত জীবন পেতে সব ভোটার একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং মুক্ত রাশিয়া দেখতে চান। ব্যালটে তাঁদের এ আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।’
পুতিন আরও বলেন, ভোট দেওয়া ‘দেশপ্রেমের অনুভূতিরই’ বহিঃপ্রকাশ। বিশেষ করে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে রুশ বাহিনীর দখলকৃত এলাকায় এ অনুভূতির প্রকাশ ঘটাতে হবে। এর কিছু নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিযান শুরুর পর। অবশিষ্ট এলাকা ২০১৪ সালে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দখল করেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। পরে দেশটিতে অভিযান শুরু করে মস্কো। অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হন রুশ সেনারা। পরে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে মনোনিবেশ করেছেন তাঁরা।
রুশ সেনাদের দখল করা এলাকাগুলোর একটা বড় অংশ ২০২২ সালের শেষ দিকে পুনর্দখল করে ইউক্রেনের বাহিনী। পরে রুশ বাহিনী তাদের অবস্থান আবারও মজবুত করেছে। সবশেষ গত মাসে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর আভদিভকা দখল করেছে তারা।