রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বিশ্ব নেতারা কে কি বলেছেন
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্টজনেরা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আছেন। বিশ্বনেতারা রানির গভীর কর্তব্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও উদারতার প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। খবর বিবিসির
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪০ বছর আগে রানির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। বাইডেন বলেন, তিনি রানির চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। তিনি নিজেই একটি যুগের জন্ম দিয়েছেন।
গত বছর যুক্তরাজ্য সফরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাইডেন বলেন, ‘বুদ্ধি দিয়ে তিনি আমাদের মুগ্ধ করেছেন, উদারতা দিয়ে আমাদের চালিত করেছেন এবং তার প্রজ্ঞা উদারভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করেছেন।’
রানির প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী হিসেবে আখ্যা দিয়ে ফ্রান্সের একজন বন্ধু হিসেবে স্মরণ করেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান (ইইউ) কমিশনের সদর দপ্তরও আছে। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে সহানুভূতি ও যোগাযোগ স্থাপন করার ক্ষমতা এবং ঐতিহ্য বজায় রাখা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো। এটি ছিলো তাঁর সত্যিকারের নেতৃত্বের উদাহরণ ।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজও রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পরে জার্মান-ব্রিটিশ পুনর্মিলনের বিষয়ে তাঁর প্রতিশ্রুতি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এদিকে এক আবেগঘন শোকবার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, কানাডিয়ানদের প্রতি গভীর ও স্থায়ী ভালোবাসা ছিল রানির। কান্না সামলে ট্রুডো বলেন, ‘তিনি (রানি) ছিলেন বিশ্বে আমার প্রিয় মানুষদের একজন। আমি তাকে খুব মিস করব।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকবার রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পুতিন একবার রানিকে ১৪ মিনিট অপেক্ষায় রেখেছিলেন বলেও খবর শোনা যায়। মায়ের মৃত্যুতে প্রিন্স চার্লসের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এক বিবৃতিতে পুতিন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো রানির নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্টকি এক টুইট বার্তায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছন।