তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার প্রতিনিধি, লক্ষ্য সম্পর্ক জোরদার

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের মধ্যাঞ্চলে বৃহস্পতিবার রুশ কনস্যুলেটে বৈঠক হয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের। এ সময় কনস্যুলেটের ফটকে সাংবাদিদদের ভীড় দেখা যায়ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কে বড় অবনতি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নজর দিয়েছেন। এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এক টেবিলে বসেছে মস্কো ও ওয়াশিংটন। এবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আবার একত্র হয়েছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। তাঁদের বৈঠকের লক্ষ্য, নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।

আজ বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলের মধ্যাঞ্চলে রুশ কনস্যুলেটে বেশ কয়েকটি গাড়ি ঢুকতে দেখা যায় রয়টার্সের ভিডিওতে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন ওয়াশিংটনে নতুন রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার দারচিয়েভ ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপসহকারী মন্ত্রী সোনাটা কাল্টার।

মস্কো ও ওয়াশিংটন—দুই পক্ষই জানিয়েছে, এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে কাজ করা। গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছিলেন, এই আলোচনার বিষয়বস্তু ইউক্রেন নয়। দুই দেশের দূতাবাসের কার্যক্রম নিয়ে শুধু বৈঠক হবে। আর বড় পরিসরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা হবে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তিচুক্তির পর।

দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালনায় দূতেরা সমস্যার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ মস্কো ও ওয়াশিংটনের। রাশিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁদের কূটনীতিকদের অর্থ পরিশোধ করা জটিল হয়ে পড়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়ার তাঁদের কূটনীতিকেরা চলাচলে বিধিনিষেধের মুখে পড়েন। কূটনীতিকদের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলেও একে অপরের প্রতি অভিযোগ এনেছে দুই দেশ।

এ ছাড়া কূটনৈতিক সম্পত্তি নিয়েও রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার ছয়টি সম্পদ মার্কিন সরকারের বিধিনিষেধের আওতায় রয়েছে। সেগুলো হলো নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের কিলেনওর্থ ম্যানসন, মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের একটি সুবিশাল বাড়ি, সান ফ্রান্সিসকো ও সিয়াটলে রুশ কনস্যুলেট এবং ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে রাশিয়ার বাণিজ্য মিশন।