ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর সন্তানদের কী বলেছিলেন কেট
যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন শুক্রবার দেওয়া ভিডিও বার্তায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেওয়ার পাশাপাশি এ রোগের কথা সন্তানদের কীভাবে জানিয়েছেন তা–ও বলেছেন।
গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের এ সদস্য বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার আগে সন্তানদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার জন্য সময় নিয়েছিলেন তিনি।
গত জানুয়ারি মাসে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কেট। সে সময় ব্রিটিশ রাজপরিবারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তাঁর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে সে সময় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় কেট বলেন, অস্ত্রোপচারের পর তাঁর ক্যানসার ধরা পড়েছে। তাঁর কেমোথেরাপি চলছে।
দুই মিনিটের ওই ভিডিও বার্তায় কেট বলেছেন, তাঁর ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার খবরটি ছিল রাজপরিবারের জন্য ‘বড় ধরনের ধাক্কা’। গত কয়েকটি মাস রাজপরিবারকে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
কেট বলেন, ‘অবশ্যই এটা বড় ধরনের ধাক্কা ছিল। উইলিয়াম ও আমি চাইছিলাম আমাদের ছোট পরিবারটির স্বার্থে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখে সবকিছু সামাল দিতে।’
অস্ত্রোপচারের পর থেকে জনসমক্ষে না আসায় কেটকে নিয়ে নানা গুঞ্জন চলতে থাকে। জনসমক্ষে না আসার কারণ ব্যাখ্যা করে কেট বলেছেন, ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবরটি মেনে নিতে এবং সন্তানদের তা জানাতে সময় নিতে হয়েছে।
৪২ বছর বয়সী প্রিন্সেস অব ওয়েলস বলেন, ‘বড় ধরনের যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তা থেকে সেরে উঠে চিকিৎসা শুরু করতে সময় লেগেছে। তবে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, জর্জ (১০), শার্লট (৮) এবং লুইসকে (৫) ভালোভাবে সবকিছু বুঝিয়ে বলার জন্য আমাদের সময় নিতে হয়েছে। আমি ঠিক হয়ে যাব বলে তাদের আশ্বস্ত করতে সময় নিতে হয়েছে।’
কীভাবে সন্তানদের বুঝিয়েছেন, তা–ও দুই মিনিটের ওই ভিডিও বার্তায় বলেছেন কেট।
‘আমি তাদের বলেছি, আমি ভালো আছি এবং দিন দিন শক্ত হচ্ছি। যে জিনিসগুলো আমাকে সেরে উঠতে সহযোগিতা করছে, সেগুলো হলো আমার মন, শরীর ও স্পৃহা।’
বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্তদের সবাইকে আশা না হারানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কেট। তিনি বলেন, ‘এ সময়ে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষদের কথা আমার মনে পড়ছে। যেকোনোভাবেই হোক, যারা এ রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন, তাঁদের বলব, দয়া করে বিশ্বাস ও আশা হারাবেন না। আপনারা একা নন।’
কেট কী ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত, সে ব্যাপারে কেনসিংটন প্যালেস জানায়নি। প্যালেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসাসংক্রান্ত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার প্রিন্সেসের রয়েছে। কেট সুস্থতার পথে এবং গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে বলে প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।