ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ, জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট থেকে বিরত বাংলাদেশ–ভারত–পাকিস্তান
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ ১৭টি দেশ। দুটি দেশ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
তবে এরপরও প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্তের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) এ ভোটাভুটি হয়। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের অপরাধ তদন্তের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) প্রস্তাবটি তোলে।
প্রস্তাবে ১৭টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ওই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে ২৮টি দেশ খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দুটি দেশ হচ্ছে চীন ও ইরিত্রিয়া।
প্রস্তাবের ওপর ভোটের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের স্থায়ী প্রতিনিধি সের্গেই কিসলিৎসিয়া টুইট করেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে ইউক্রেনে উদ্ভূত মানবাধিকার পরিস্থিতির সমর্থনে খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের আমরা অভিবাদন জানাই। দুই দেশ এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিল। এবার যুদ্ধাপরাধের জবাবদিহি হবে!’
অবশ্য এর আগেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুতে বিভিন্ন সময় জাতিসংঘে তোলা নানা প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ ও ভারত।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটাভুটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘বিস্তৃত, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠা এবং ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার ও যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৪১টি দেশ, ৭টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ৩২টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
অন্যদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন ইস্যুতে শুরু থেকে জাতিসংঘে বিভিন্ন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়ে আসছে চীন। গতকালের ভোটাভুটিতেও তারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।