ইতালিতে ভোট গ্রহণ চলছে, কট্টর ডানপন্থীদের জয়ের আভাস
ইতালিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। দেশটিতে আজ রোববার গ্রিনিচ মান সময় ভোর পাঁচটায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায়) ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। গ্রিনিচ মান সময় রাত ১১টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) তা চলবে। খবর এএফপির
নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থীরা জয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তা হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই হবে ইতালির প্রথম কট্টর ডানপন্থী সরকার।
বিভিন্ন জনমত জরিপে জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থী দল ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টি এগিয়ে রয়েছে। মাত্তেও সালভিনির লিগ ও সিলভিও বেরলুসকোনির ফোরজা ইতালিয়াকে নিয়ে ডানপন্থী সরকার গঠন করতে পারে দলটি।
‘ঈশ্বর, দেশ ও পরিবার’—এ নীতিবাক্যকে সামনে রেখে ৪৫ বছর বয়সী মেলোনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। নির্বাচনে জয় পেলে তিনি হবেন ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ ভোট গ্রহণ শুরুর আগে থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রগুলোয় ভিড় জমাতে থাকেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এ নির্বাচনের দিকে নজর রাখছে। ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সুইডেনের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থীদের জয়ের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইতালিও ডানপন্থী সরকার পাচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে সংশয়বাদী মনোভাব পোষণ করলেও ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন মেলোনি। তবে তাঁর মিত্রদের অবস্থান ভিন্ন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেরলুসকোনির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব রয়েছে। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
মেলোনি জয় পেলে দেশের মূল্যস্ফীতি থেকে শুরু করে জ্বালানি সংকটসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বেন। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এসব সংকটের মধ্যে আছে ইতালি।
ইউরো অঞ্চলে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইতালি। করোনা মহামারি পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ালেও দেশটি মোট দেশজ উৎপাদনের ১৫০ শতাংশ সমমূল্যের ঋণে জর্জরিত।
নির্বাচনী প্রচারণায় মেলোনি নিজেকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত বলে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। অবশ্য তাঁর দল এর আগে কখনো ক্ষমতায় ছিল না।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেত্তার নেতৃত্বাধীন মধ্যম বামপন্থী দল বলছে, মেলোনি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। দলটি আরও বলেছে, মেলোনি সরকার গঠন করলে মানুষের গর্ভপাতের অধিকারের মতো বিভিন্ন অধিকারের বিষয়টি ঝুঁকির মুখে পড়বে। তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতার বিষয়কে এড়িয়ে যাবেন।