লিমোজিন গাড়িতে চালক পুতিন, পাশে কিম
রাশিয়ার তৈরি অরাস লিমোজিন গাড়িতে কিমকে পাশের আসনে বসিয়ে চালিয়ে নিয়ে গেছেন পুতিন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টিকে অনেকেই দুই নেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখানোর প্রয়াস হিসেবে দেখছেন।
ভিডিওটি প্রথম রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি প্রকাশ করে। যে লিমোজিন গাড়িটি পুতিন চালাচ্ছিলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেই গাড়িটিই তিনি ব্যবহার করেন। গাড়িটি পুতিন ম্যানিকিউরড পার্ক এলাকা দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার সময় দুই নেতা গল্প জুড়ে দেন। গল্পের একপর্যায়ে দুই নেতাকে হাসতে দেখা গেছে।
পরে জঙ্গলে ঘেরা একটি এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে দুজনকে হেঁটে হেঁটে গল্প করতে দেখা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অবশ্য প্রথম একটি অরাস গাড়ি কিম জং-উনকে উপহার দিয়েছিলেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। দুই দেশের পক্ষ থেকেই তখন বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর এবার একই মডেলের আরেকটি গাড়ি তাঁকে উপহার দেওয়া হলো। এর মানে হলো, কিম জং-উনের গ্যারেজে এখন অন্তত দুটি অরাস গাড়ি রয়েছে।
গাড়ি নিয়ে কিমের বিপুল আগ্রহ রয়েছে। তাঁর নিজের সংগ্রহে বেশ বড়সংখ্যক বিদেশি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। সম্ভবত এই গাড়িগুলো চোরাচালানের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ায় আনা হয়েছে। কারণ, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটিতে বিলাসবহুল পণ্য রপ্তানি করা নিষিদ্ধ।
কিমকে মেবাক লিমোজিনে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি মার্সেডিজ, একটি রোলস-রয়েস ফ্যান্টম ও একটি লেক্সাস স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলেও তাঁকে চড়তে দেখা গেছে।
সোভিয়েত আমলে রাশিয়ায় চলত জিল লিমোজিন। অরাস সিরাটকে অনেকটা একই রকমভাবে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ অরাস সিনাট দেখতে অনেকটা জিলের মতোই। এটিই এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক গাড়ি, অর্থাৎ প্রেসিডেনশিয়াল কার। গত মে মাসে ক্রেমলিনে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানের দিনে ভ্লাদিমির পুতিন ওই গাড়িতে চড়েছিলেন।
এ দিকে পুতিনকে এক জোড়া কুকুর উপহার দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। কুকুর দুটি স্থানীয় পুংসান জাতের। এই কুকুর শিকারের কাজে ব্যবহার করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা রঙের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি জায়গায় কুকুর দুটিকে রাখা হয়েছে। পুতিনকে সেগুলো দেখাচ্ছেন কিম। একটি ঘোড়া নিয়েও মেতে থাকতে দেখা যায় দুজনকে।
পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরকালে গত বুধবার রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি সার্বিক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে কোনো পক্ষ আগ্রাসনের শিকার হলে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।