চারপাশে ধর্ষণের কয়েক ডজন আসামি, মাঝে বসে থাকতেন পেলিকোত

৭২ বছর বয়সী গিস লে পেলিকোত। তাঁর স্বামী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক দশকের বেশি সময় ধরে ৫০ জনকে দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করিয়েছিলেনছবি: রয়টার্স

ফ্রান্সের অ্যাভিগনোনের কাচ আর কংক্রিটে তৈরি আদালত ভবনের বাইরে ব্যস্ত রিং রোড। পাশের ফুটপাতে প্রতিদিন শরতের ঠান্ডা হওয়া গায়ে মেখে একদল নারী এসে জড়ো হতেন। সকাল থেকে তাঁদের সারি লম্বা হতো, চলত সন্ধ্যা পর্যন্ত।

এভাবে দিনের পর দিন আদালতের পাশের এ ফুটপাতে জড়ো হতেন নানা শ্রেণি-পেশার নারী। তাঁদের মধ্যে কেউ আবার ফুল নিয়ে আসতেন। আর কাচের দরজার ভেতর দিয়ে সিঁড়ি ভেঙে যখন হেঁটে আসতেন গিস লে পেলিকোত, তখন সমবেত নারীরা তাঁকে করতালি দিয়ে সাধুবাদ জানাতেন। সাহস করে কেউ তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলারও চেষ্টা করতেন। কেউ উচ্চস্বরে বলে উঠতেন, ‘আমরা তোমার পাশে আছি গিস লে। বুকে সাহস রাখ।’

এসব নারীর বেশির ভাগই আদালত ভবনে জনসাধারণের জন্য সংরক্ষিত কক্ষে একটি আসন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন। প্রতিদিন কক্ষটি মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে উঠত। কক্ষে তাঁরা একটি মামলার বিচারকাজ দেখার সুযোগ পেতেন। অধীর আগ্রহে থাকতেন একজন বয়োবৃদ্ধ নারীর সাহসিকতার সাক্ষী হয়ে থাকতে।

এদিকে আদালতকক্ষে চুপচাপ বসে থাকতেন পেলিকোত আর তাঁর চারপাশে থাকতেন তাঁকেই ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠা কয়েক ডজন আসামি।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে অ্যাভিগনোন শহরের মাজান এলাকায় থাকতেন পেলিকোত। উচ্চশক্তির ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে অন্য পুরুষদের দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করাতেন তাঁরই স্বামী ডোমেনিক পেলিকোত। নির্মম এ ঘটনার শুরু ২০১১ সালে। বর্তমানে পেলিকোতের বয়স ৭২ বছর।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের আদালতে পেলিকোত ধর্ষণ মামলার রায় হয়েছে। এতে তাঁর স্বামীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আরও ৫০ জনকেও ৩ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালতে নিয়মিত ওই ধর্ষণ মামলার বিচার দেখতে আসা ব্যক্তিদের একজন ৫৪ বছর বয়সী ইসাবেলা মুনিয়ের। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর (পেলিকোত) মধ্যে নিজেকে দেখতে পাই। বিচারের মুখোমুখি হওয়া অভিযুক্ত পুরুষদের মধ্যে আমার এক বন্ধুও ছিলেন। এটি ছিল আমার জন্য খুব জঘন্য বিষয়।’

সাদজিয়া জিমলি নামের ২০ বছর বয়সী এক তরুণী বলেন, ‘পেলিকোত নারীদের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছেন।’ তবে আদালত প্রাঙ্গণে নারীরা শুধুই বিচারকাজ দেখতে যেতেন, তা নয়। এর পেছনে আরও কারণ ছিল। সর্বোপরি তাঁরা বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন।

আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে গিস লে পেলিকোত। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ছবি: রয়টার্স

ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্ষণের ঘটনা এটি। এ ঘটনায় অ্যাভিগনোনের আদালত প্রাঙ্গণে যেসব নারী আসতেন, তাঁরাসহ ফ্রান্সের অনেক নারীর মাথায় এখন দুটি মৌলিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রথমটি সহজাত। এ প্রশ্নের তির ফরাসি পুরুষদের দিকে। কেউ কেউ পুরো পুরুষ জাতির দিকেই আঙুল তুলছেন। কেউ–বা শুধু ওই ৫০ জনের কথা বলছেন, যাঁরা কি না একজন নারীকে ধর্ষণ করার অপ্রত্যাশিত আহ্বান লুফে নিতে একপায়ে খাড়া ছিলেন। একেবারেই পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়ির শোবার ঘরে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন ওই নারী।

দ্বিতীয় প্রশ্নটির উৎপত্তি প্রথম প্রশ্ন থেকেই। যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তি ও মাদক খাইয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা মোকাবিলায় লজ্জা ও সম্মতি সম্পর্কে কুসংস্কার এবং অজ্ঞতাকে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়ে এ বিচার কত দূর যাবে?

সহজ ভাষায় বললে, পেলিকোত সাহস ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে এ মামলার বিচারকাজ প্রকাশ্যে করার অনুরোধ জানান। তাঁর অনুরোধেই প্রকাশ্যে শুনানি হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীই সাধারণত লজ্জা ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন। কিন্তু প্রকাশ্য বিচারের মাধ্যমে গিস লে বিষয়টিকে উল্টে দিতে চেয়েছেন। তাঁর চাওয়া ছিল অপরাধীরা যাতে লজ্জা পান। গিস লের এ প্রচেষ্টা কি বড় কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসবে?

মুখোশের বাইরে অপরাধীরা

দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ বিচারকাজে আদালত প্রাঙ্গণে একটি ভিন্ন রকম আবহ তৈরি হয়। গত সপ্তাহগুলোয় অ্যাভিগননের বিচারকেন্দ্র প্যালেস ডি জাস্টিসের মধ্যে অদ্ভুত স্বাভাবিকতা বিরাজ করেছিল। অপরাধীদের মুখগুলো সব সময় মুখোশের আড়ালে লুকোনো ছিল না। টেলিভিশন ক্যামেরা ও আইনজীবীদের ভিড়ে একদম সাধারণ মানুষের মতোই অনেক সময় অভিযুক্ত ধর্ষকেরা ঘুরে বেড়িয়েছেন। এ চেহারাগুলো শুরুর দিকে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও একসময় যেন সাধারণ হয়ে উঠেছিল।

ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসিজ চলতি বছর একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, ফ্রান্সে যৌন নিপীড়নের গড়ে ৮৬ শতাংশ অভিযোগ ও ধর্ষণের ৯৪ শতাংশ অভিযোগের বিচার হয় না কিংবা এসব অভিযোগ বিচারের আওতায় আসে না।

বিচারচলাকালে দেখা গেছে, পেলিকোতকে ধর্ষণে অভিযুক্তরা আদালত প্রাঙ্গণের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, গল্প করছেন, হাসি-ঠাট্টা করছেন, কফি খাচ্ছেন বা রাস্তার ওপারে একটি ক্যাফে থেকে ফিরছেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, তাঁরা নিতান্তই সাধারণ মানুষ। তাঁদের মনোভাব এমন যে, তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে যৌন সম্পর্ক করার জন্য অনলাইনে সুযোগ খুঁজছিলেন। আর ঘটনাচক্রে একটি অপ্রত্যাশিত ঝামেলায় ফেঁসে গেছেন।

ফরাসি নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ডেয়ার টু বি ফ্যামিনিস্টের এলসা ল্যাবোরেট বলেন, ‘অপরাধীদের এ মনোভাব মামলাটির সবচেয়ে মর্মান্তিক দিক। এটা কল্পনা করতেও কষ্ট হয়।’

ল্যাবোরেট আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ পুরুষ বিশ্বস্ত সঙ্গী চান। কিন্তু পেলিকোতের ঘটনার পর এখন অনেক নারীও পুরুষদের মতো করেই সঙ্গী (দীর্ঘ মেয়াদে বিশ্বস্ত সঙ্গী) বাছাই করার কথা ভাবছেন। তাঁরা মনে করছেন, তাঁদের সঙ্গেও এমন ঘটনা (পেলিকোতের মতো) ঘটতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেলিকোতকে ধর্ষণে অভিযুক্তরা শুধু সঙ্গী খোঁজার জন্য ইন্টারনেটে গিয়েছিলেন। তাই, এটা সম্ভব যে একই রকম ঘটনা সব জায়গায় ঘটছে।’

ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসিজ চলতি বছর একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, ফ্রান্সে যৌন নিপীড়নের গড়ে ৮৬ শতাংশ অভিযোগ ও ধর্ষণের ৯৪ শতাংশ অভিযোগের বিচার হয় না কিংবা তা বিচারের আওতায় আসে না।

এলসা ল্যাবোরেট বলেন, ‘যৌন সহিংসতা তখনই ঘটে যখন নির্দিষ্ট শ্রেণির পুরুষেরা বুঝতে পারেন যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা সহজেই পার পেয়ে যাবেন। ফ্রান্সে এসব ঘটনা এত বেশি ঘটার পেছনে একটি বড় কারণ এটি বলে আমি মনে করি।’

আদালতের নিযুক্ত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লরেন্ট লেয়েট সাক্ষ্য দিয়েছেন যে অভিযুক্তরা দানবও নন, আবার সাধারণ পুরুষও নন। বিচার চলাকালে তাঁদের কেউ কেউ অশ্রুসিক্ত ছিলেন। কয়েকজন নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগই নানা রকম অজুহাত দেখিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, তাঁরা শুধুই ফুর্তিবাজ ছিলেন। পেলিকোত যৌন সম্পর্ক করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন কি না, তা জানার কোনো উপায় ছিল না তাঁদের। অন্যদের দাবি, পেলিকোতের স্বামী ডমিনিক অভিযুক্তদের ভয় দেখিয়েছিলেন।

পেলিকোত ধর্ষণ মামলায় বিচারের আওতায় আনা ৫১ জন পুরুষের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত মিল নেই বললেই চলে। তাঁরা সমাজে ব্যাপক বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করেন। এর মধ্যে তিন-চতুর্থাংশের সন্তান আছে। অর্ধেক বিবাহিত বা প্রেমের সম্পর্কে আছেন। আর মাত্র এক–চতুর্থাংশ বলেছেন যে, তাঁরা শিশু বয়সে নির্যাতন বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

বয়স, চাকরি বা সামাজিক শ্রেণির ভিত্তিতে এ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠী বা দলের সদস্য নন। তাঁদের মধ্যে শুধু দুটি বিষয়ে মিল ছিল। তা হলো—এই ব্যক্তিরা পুরুষ এবং তাঁরা একটি অবৈধ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ছিলেন। যাঁরা সংঘবদ্ধ যৌনাচার ও শিশুদের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করেন, তাঁদের কাছে জনপ্রিয় ছিল এ প্ল্যাটফর্ম। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছেও এটি ছিল পছন্দের। ফরাসি কৌঁসুলিদের মতে, প্ল্যাটফর্মটি চলতি বছরের শুরুতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটির মাধ্যমে ২৩ হাজারের বেশি অপরাধমূলক কার্যকলাপ সংগঠিত হয়েছে বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এ মামলাকে নিবিড়ভাবে অনুসরণ করেছেন জুলিয়েট ক্যাম্পিয়ন। তিনি একজন ফরাসি সাংবাদিক। সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ফ্রান্স ইনফোর পক্ষ থেকে পুরো বিচারকাজ চলার সময় আদালতে ছিলেন তিনি। জুলিয়েট বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ঘটনা অবশ্যই অন্য কোনো দেশেও ঘটতে পারত। ফ্রান্সে পুরুষেরা নারীদের কোন চোখে দেখেন বা সম্মতির নেওয়ার বিষয়ে কী ভাবেন...সে বিষয়ে অনেক কথাই বলে এ ঘটনা।’ তিনি বলেন, ‘অনেক পুরুষ জানেনই না, সম্মতি আসলে কী। তাই দুঃখজনকভাবে এ মামলা আমাদের দেশ সম্পর্কে অনেক কিছুর ইঙ্গিত দেয়।’

রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলনে গিস লে পেলিকোত
ছবি: রয়টার্স

পেলিকোত ধর্ষণ মামলা ফ্রান্সজুড়ে ধর্ষণ সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যান–ধারণাই বদলে দিয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশটির অভিনেতা, গায়ক, সংগীতজ্ঞ ও সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ফরাসি পুরুষদের একটি দল, লিবারেশন পত্রিকায় একটি উন্মুক্ত চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তাঁরা বলেছিলেন, পেলিকোত মামলা প্রমাণ করেছে যে পুরুষদের যৌন সহিংসতার ঘটনা দানবীয় কোনো বিষয় নয়। অর্থাৎ যেকোনো পুরুষের পক্ষেই এমন ঘটনা ঘটানো সম্ভব।

যৌন নিপীড়ন মামলার বিশেষজ্ঞ প্যারিসভিত্তিক আইনজীবী ক্যারেন নোবলিনস্কি বলেন, ‘মামলাটি প্রত্যেকের জন্য, সব প্রজন্মের জন্য, অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েদের জন্য ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়েছে। ধর্ষণ সব সময় পানশালায় বা ক্লাবে হয় না। এটা আমাদের বাড়িতেও হতে পারে।’

‘নটঅলম্যান হ্যাশট্যাগ’

পেলিকোতের নিজের গ্রাম মাজানের মেয়র লুইস বোনেট ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বলেন, পেলিকোতের ঘটনাকে অনেক বেশি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ধর্ষণের সময় পেলিকোত অচেতন অবস্থায় ছিলেন। ফলে ধর্ষণের শিকার অন্য যেকোনো নারীর তুলনায় তিনি অপেক্ষাকৃত কম ভুক্তভোগী।

লুইস ওই সময় বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিষয়টিকে ছোট করেই দেখছি। কারণে পরিস্থিতি আরও বাজে হতে পারত। যখন কোনো শিশু বা কোনো নারীকে হত্যা করা হয়, তখন বিষয়টি অনেক বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতি থেকে আর পেছনে ফেরা যায় না। তবে এ ক্ষেত্রে (পেলিকোতের ঘটনা) পরিবারটিকে পুনরায় গড়ে তোলা যাবে। ঘটনাটি ভয়াবহ হলেও এতে কেউ মারা যাননি। তাঁরা এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।’

এ মন্তব্য ফ্রান্সজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। অবশ্য পরে এক বিবৃতি দিয়ে এ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান লুইস।

পেলিকোতের ঘটনা সামনে আসার পর অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়। একটি বিতর্কিত মন্তব্য অনেক বেশি আলোচনায় আসে। আর তা হলো—‘সব পুরুষ ধর্ষণে সক্ষম।’ তবে এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিছু পুরুষ এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নটঅলম্যান হ্যাশট্যাগ’ ব্যবহার করছেন।