ইউক্রেনে জার্মান কনস্যুলেটের ভবনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের প্রায় সব বড় শহর ও অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিয়েভে জার্মান কনস্যুলেটের একটি ভবনও। আজ সোমবার সকালে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
জার্মান কনস্যুলেট ভবনে হামলার পর জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই ভবন ভিসা–সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হতো। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেখানে কার্যক্রম বন্ধ ছিল। হামলায় কনস্যুলেটের কেউ হতাহত হননি।
ইউক্রেনে বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত। তিনি বলেন, কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলের লক্ষ৵বস্তুতে ৮৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে ৪৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কালিবার, ইসকান্দার ও কেএইচ–১০১। সেগুলো কৃষ্ণসাগর ও কাস্পিয়ান সাগর থেকে ছোড়া হয়েছে।
হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের ৮ অঞ্চলে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরিভিত্তিতে কাজ চলছে।
হামলায় লিভ ও খারকিভ শহর এবং খমেলনিতস্কি, সুমি ও তেরনোপিল অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট দেখা গেছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানান। ইউক্রেন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবারের হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন।
গত শনিবার ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র সেতু কার্চ ব্রিজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সেতুর একাংশ ধসে পড়ে। ওই বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজকের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পুতিন বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবারও ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালানো হলে একইভাবে জবাব দেওয়া হবে।