একই কাজ করলেও নারীরা পুরুষের সমান মজুরি পান না। এ ছাড়া নারী হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার শিকার হতে হয়। এসব বৈষম্যের প্রতিবাদে কাজে যোগ না দিয়ে মঙ্গলবার ধর্মঘট করেছেন আইসল্যান্ডের হাজারো নারী। ধর্মঘটে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী কাতরিন ইয়াকোবস্তোতিরও।
নারী অধিকার ও নারীর স্বাধীনতার মতো বৈশ্বিক সূচকে আইসল্যান্ডের অবস্থান সব সময় ওপরেই থাকে। এরপরও দেশটিতে নারীরা মজুরি ও লিঙ্গবৈষম্যের শিকার। এর প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বলা হচ্ছে, ১৯৭৫ সালের পর আইসল্যান্ডের নারীদের এটাই প্রথম পূর্ণ দিবস ধর্মঘট।
আইসল্যান্ডের নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের এ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য বলছে, আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ এ ধর্মঘটে যোগ দেন।
নারীদের এসব দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ধর্মঘটের আগে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী কাতরিন বলেন, ‘আমিও আজ কাজে যাব না। আশা করি, অন্য নারীরাও তা–ই করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী কাতরিন জানান, বছরের পর বছর কর্মক্ষেত্রে পুরুষদেরই আধিপত্য। এর বিপরীতে দেশের নারীপ্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছে তাঁর সরকার।
আইসল্যান্ডে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এখনো নারীরা বৈষম্যের শিকার। দেশটির শিক্ষকদের একটি জাতীয় সংগঠনের দেওয়া হিসাবে, দেশটিতে নারী শিক্ষকই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্ডারগার্টেনগুলোয় এ হার ৯৪ শতাংশ। এ ছাড়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের কর্মীদেরও প্রায় ৮০ শতাংশই নারী।