চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। খবর রয়টার্সের।বিক্ষোভকারীরা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে আরও পদক্ষেপ নিতে জোট সরকারের প্রতি দাবি জানান। তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও সামরিক জোট ন্যাটোর বিরোধিতা করেন।
কয়েকটি ডানপন্থী দল, কমিউনিস্ট পার্টিসহ প্রান্তিক দলগুলো গত শনিবার এ বিক্ষোভের আয়োজন করে।
আয়োজকেরা বলেন, মধ্য ইউরোপের দেশ প্রাগের সরকারকে সামরিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে। রাশিয়াসহ গ্যাস সরবরাহকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
পুলিশ বলছে, বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভকারীর সংখ্যা আনুমানিক ৭০ হাজার ছিল। এই বিক্ষোভের সহ-আয়োজক জিরি হাভেল বলেছেন, পরিবর্তনের দাবি তোলাই তাঁদের এই বিক্ষোভের উদ্দেশ্য। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মতো জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সমাধান চান তাঁরা। কারণ, এগুলো তাঁদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেবে।
অনাস্থা ভোটে সরকার টিকে যাওয়ার এক দিন পরই প্রাগের কেন্দ্রস্থল ওয়েন্সেসলাস স্কয়ারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
কীভাবে ইউরোপের জ্বালানিসংকট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে এই অনাস্থা ভোটে তা প্রমাণ হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এটি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, যা গত তিন দশকেও দেখা যায়নি।
চেক প্রজাতন্ত্রে পাঁচদলীয় জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা। শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থরক্ষার কথা ভাবছেন না। তিনি বলেন, ‘ওয়েন্সেসলাস স্কয়ারের বিক্ষোভ রুশ সমর্থকেরা আয়োজন করেছেন। তাঁরা খুবই কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তাঁদের অবস্থান চেক প্রজাতন্ত্রের স্বার্থবিরোধী।’