ভাগনার বিদ্রোহের পর পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রিগোশিন: ক্রেমলিন
ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের বিদ্রোহের পর বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। গত ২৯ জুন রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনে দুজনের সাক্ষাৎ হয় বলে আজ সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন।
রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ প্রিগোশিন ২৪ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এ সময় ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি শহর দখলে নেন ভাগনার যোদ্ধারা। একপর্যায়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে সমঝোতার পর বিদ্রোহ থামান প্রিগোশিন।
দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্রেমলিনে সাক্ষাতের সময় ২৪ জুন যা ঘটেছে, তা নিয়ে নিজের মূল্যায়ন প্রিগোশিনকে জানিয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে ভাগনারের কমান্ডারদের অভিযোগগুলো শোনেন তিনি। এ সময় কমান্ডাররা জোর দিয়ে বলেন, তাঁরা পুতিনের কট্টর সমর্থক। রাশিয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চান।
প্রিগোশিনসহ ভাগনার কমান্ডারদের সঙ্গে পুতিনের সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠক হয়েছিল বলে জানান পেসকভ। তিনি বলেন, ভাগনার কমান্ডারদের কর্মসংস্থানের জন্য বিকল্প নানা প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুতিন। তাঁদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এদিকে বিদ্রোহের পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় গড়ালেও প্রিগোশিন বা ভাগনার যোদ্ধাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত কী ঘটতে যাচ্ছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। প্রিগোশিন বিদ্রোহ থামিয়েছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায়। ক্রেমলিনের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী, প্রিগোশিন ও ভাগনারের যোদ্ধাদের একাংশের বেলারুশে থাকার কথা। তবে গত বৃহস্পতিবার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, প্রিগোশিন বা তাঁর যোদ্ধাদের কেউ এখন বেলারুশে নেই।