অবিচল থাকুন, ইউক্রেনীয় জনগণের জন্য জেলেনস্কির বার্তা

ভলোদিমির জেলেনস্কি
ছবি: ফাইল ছবি

রাশিয়ার হামলার মধ্যেও অবিচল থাকার জন্য ইউক্রেনের জনগণের প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার এক ভিডিও বক্তব্যে জেলেনস্কি এই আহবান জানান। খবর বিবিসির

ইউক্রেনের জনগণ যখন বড় দিনের ছুটি উদ্‌যাপন করছেন তখনই ভিডিও বার্তাটি দিলেন জেলেনস্কি। তাঁর বক্তব্যের আগে খেরসনে রুশ বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন।

জেলেনস্কি গতকাল রাতে ভিডিও বক্তব্যটি দেন।  তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের শুরু থেকে আমরা মানিয়ে নিচ্ছি। আমরা হামলা, হুমকি, পারমাণবিক ভয়ভীতি, সন্ত্রাস এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যেও টিকে আছি। চলুন এ শীতটাও আমরা সেভাবে পার করি। কারণ, আমাদের লড়াইটা কিসের জন্য তা আমাদের জানা আছে।’

আরও পড়ুন

‘আমরা সব সময়ের মতো ছুটি উদ্‌যাপন করব। আমরা হাসব এবং খুশি থাকব। সব সময়ের মতো। পার্থক্য শুধু একটাই। আমরা অলৌকিক কিছু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকব না। আমরা নিজেরাই তা (অলৌকিক কিছু) তৈরি করব।’

গতকাল দেওয়া বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, ‘চড়া মূল্যের বিনিময়ে স্বাধীনতা আসে। তবে দাসত্বের কারণে আরও বেশি মূল্য চুকাতে হয়।’

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় তারা ঘরবাড়ি উষ্ণ রাখতে এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে পারছেন না। কিয়েভ থেকে বিবিসির হুগো বাচেগা বলেন, ইউক্রেনীয়দের অনেককে অন্ধকার এবং ঠান্ডার মধ্যে বড় দিন কাটাতে হবে।

আরও পড়ুন

এদিকে জেলেনস্কির বক্তব্যের আগে গতকাল ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরে রুশ বিমান হামলা হয়। আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ ঘটনায় ১০ জন নিহত এবং আরও ৬৮ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আনন্দ লাভের জন্য রুশ সেনারা হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছেন। তবে রাশিয়া বরাবরই বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইউক্রেনীয় জনগণের একটা বড় অংশ অর্থোডক্স খ্রিষ্টান। তারা বড়দিনের আগের সন্ধ্যাটিকে উৎসব মৌসুমের প্রধান দিন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তারা ৬ জানুয়ারিকে বড় দিনের আগের দিন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তবে বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ ২৪ ডিসেম্বরকে বড়দিনের  আগের দিন হিসেবে পালন করে থাকে।