আরও জোর কূটনৈতিক তৎপরতা জেলেনস্কির

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
ফাইল ছবি: এএফপি

যুদ্ধ নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের চেষ্টা চালাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় রোববার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এদিকে ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের আয়োজনে আজ সোমবার ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করার কথা শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ নেতাদের।

তিন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ফোনালাপ শেষে রাতে দেওয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি। আগামী সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কয়টি আয়োজন রয়েছে। এসব আয়োজন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফল পাওয়া যাবে, যেগুলো ইউক্রেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, দেশের মানুষকে রক্ষায় ইউক্রেনের কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, সোমবার জি-৭ নেতারা ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে বৈঠকে বসবেন।

ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে জি-৭ জোটের সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের নেতাদের স্থানীয় সময় সোমবার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে করার কথা। ওই বৈঠকে ভিডিও লিংকে যুক্ত হওয়ার কথা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর। ইইউ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এতে অংশ নেওয়ার কথা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জাতিসংঘের পাশাপাশি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা গেছে তুরস্ককে। এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন থেকে শস্যদানা রপ্তানির বিষয়েই মূলত এরদোয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। এদিকে এরদোয়ানের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার প্রেসিন্টে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন এরদোয়ান। ফোনালাপে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে জেলেনস্কি বলেন, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, অর্থনীতি, কূটনীতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খুবই অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়েছে তাঁর।

লড়াই চলছেই

এদিকে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে আজ সোমবারও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা এবং গোলাবর্ষণ করেছেন রাশিয়ার সেনারা। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ হামলার খবর জানান। এ ছাড়াও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোয় রুশ বাহিনীর হামলায় এখনো দেশটির লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেছেন, সোমবার ইউক্রেনের সেনারা পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলে চারটি অবস্থানে এবং এর পাশের লুহানস্ক অঞ্চলে আট অবস্থানে রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিহত করেছেন। দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুখত, আভদিভিকা, লিমান ও কোস্তিয়ানতিনিভাকায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে ৬০টি রকেট হামলা করেছে রাশিয়া। হামলা হয়েছে দক্ষিণের জাপোরিঝঝিয়াতেও।