সেনা হিসেবে যোগ দিলে প্রচুর অর্থ দিচ্ছে রাশিয়া
ইউক্রেন যুদ্ধে লড়ার জন্য সেনা সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। এ জন্য বিশাল অর্থ দেওয়ার প্রস্তাবও দিচ্ছে রুশ কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা বাড়াতে তরুণদের আগ্রহী করে তুলতেই প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বছরে গড়াতে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে নতুন করে সেনা জোগাড় করা রুশ কর্তৃপক্ষের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বড় অঙ্কের বেতন-বোনাসের ঘোষণা দিয়ে নতুন সেনাদের টানতে চাইছেন।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন শহরের বাসিন্দাদের জন্য এককালীন ভর্তি বোনাস বা সেনা হিসেবে নাম লেখালেই বোনাস হিসেবে ১৯ লাখ রুবল বা প্রায় ২৬ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার সোবিয়ানিনের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনা হিসেবে যোগদানের প্রথম বছরের ৫২ লাখ রুবল বা ৭০ লাখ টাকার বেশি আয়ের সুযোগ থাকছে। যুদ্ধে গিয়ে কেউ আহত হলে তাঁকেও এককালীন অর্থ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারের জন্যও এককালীন বিশাল পরিমাণের অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে কত রুশ সেনা হতাহত হয়েছেন, সে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে। তবে ধারণা করা হয়, এ যুদ্ধে রুশ সেনা নিহতের হার অনেক বেশি। গত মে বা জুন মাসেই ৭০ হাজারের বেশি সেনা হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেনা নিহত হওয়ার কারণে ক্রেমলিন বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন সেনা সংগ্রহ করে তাঁদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেয়। গত ডিসেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এক ডিক্রি জারি করে আরও ১ লাখ ৭০ হাজার সেনা বাড়ানোর ঘোষণা দেন, যাতে মোট রুশ সেনা ২২ লাখ পার হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে দুই দফায় সেনা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এতে মোট রুশ সেনা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলা হয়। শুরুতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আংশিক সেনা বাড়ানো শুরু করেন পুতিন। এ সময় তিনি সেনা প্রশিক্ষণ থাকা সবাইকে আবার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলেন। এতে রাশিয়ার মধ্যে বিদ্রোহ শুরু হয়। তবে নভেম্বরেই আবার সেনা বাড়ানোর কর্মসূচি বাতিল করে রাশিয়া।
রুশ নাগরিকদের বাইরেও বিভিন্ন দেশ থেকে সেনা নিয়োগ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ১৫ হাজারের বেশি নেপালি সেনা নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়া।