রাশিয়ায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি সম্পর্কে যা জানা গেল
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ‘এমব্রায়ের লিগ্যাসি’ নামের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। ওই উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনও ছিলেন বলে দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিধ্বস্ত হওয়া ছোট আকারের উড়োজাহাজটির ক্রমিক নম্বর আরএ-০২৭৯৫। জনপ্রিয় ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪–এর ডেটায় অবশ্য উড়োজাহাজটি কোথা থেকে ছেড়ে গেছে, সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার দিনের শুরুতে মস্কোর কাছে উড়োজাহাজটির অবস্থান দেখা যায়। একপর্যায়ে উড়োজাহাজটি ২৯ হাজার ফুট ওপরে উঠে। ফ্লাইটরাডার২৪–এর ডেটায় হঠাৎ উড়োজাহাজটিকে নিচের দিকে নামতে দেখা যায়, যা শূন্য ফুটে গিয়ে ঠেকে।
উড়োজাহাজটি অটোলেক্স ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা প্রিগোশিনের বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।
ফ্লাইটরাডার২৪–এর ওয়েবসাইটে এখন উড়োজাহাজটির উড্ডয়নের আংশিক তথ্য জানা যাচ্ছে না, তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় উড়োজাহাজটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে বেশ কয়েকবার যাত্রা করেছিল। বেলারুশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমেও উড়োজাহাজটির ছবি দেখা গেছে। বর্তমানে বেলারুশে ঘাঁটি স্থাপন করেছেন ভাগনার যোদ্ধারা।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, একাধিক রুশ সংবাদমাধ্যম উড়োজাহাজটি ‘এমব্রায়ের লিগ্যাসি ৬০০’ বলে উল্লেখ করেছে। এটি প্রিগোশিনের মালিকানাধীন বলে মনে করা হচ্ছে, তবে কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
এর আগে ভাগনার গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘গ্রে জোন’ খবর দিয়েছে, মস্কোর উত্তরের একটি এলাকায় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার গুলিবর্ষণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন ভাগনারপ্রধান। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনার যোদ্ধারা, তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের। গত ২৩ জুন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন তিনি।