ভূমধ্যসাগরে জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৫ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী: জাতিসংঘ
গ্রিসের উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো ৫০০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। তিনি বলেন, এটা ভয়ংকর ঘটনা। এই প্রাণহানি মানব পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
জেরেমি লরেন্সের মতে, সাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানোর ‘আইনি ও মানবিক বাধ্যবাধকতা’ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় আরও বলেছে, প্রাণহানি ঠেকানোর জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।
১৩ জুন গভীর রাতে দক্ষিণ গ্রিসের উপকূলীয় শহর পাইলোস থেকে প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকাটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে গ্রিসের কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় ৭৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায় গ্রিসের কোস্টগার্ড।
ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীদের বেশির ভাগের বয়সই ২০–এর কোঠায়। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ৫০০ থেকে ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন।
গ্রিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আইওনিস সারমাস বলেছেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি কী কারণে ডুবে গেছে, তা নির্ধারণ করতে বাস্তব তথ্য ও প্রযুক্তির ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হবে।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে শরণার্থী অভিবাসীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ গ্রিস। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, প্রায় ৭২ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী এ বছর ইতালি, স্পেন, গ্রিস, মাল্টা ও সাইপ্রাসে গিয়েছেন।
এদিকে আইওএমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের সমুদ্র ও স্থল রুটে ৩ হাজার ৭৮৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মারা যাওয়ার তথ্য তারা নথিভুক্ত করেছে। এই রুটের মধ্যে সাহারা মরুভূমি ও ভূমধ্যসাগর অতিক্রমের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।