কুরস্কে অভিযান চালিয়ে ৫৯৪ রুশ সেনাকে আটকের দাবি ইউক্রেনের
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে তিন সপ্তাহের সামরিক অভিযানে ৫৯৪ রুশ সেনাকে আটক এবং ১০০টি বসতি দখলের দাবি করেছে ইউক্রেন। গতকাল মঙ্গলবার কিয়েভের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ওলেকসান্দর সিরস্কি এমন দাবি করেছেন।
সিরস্কি বলেন, সীমান্ত অঞ্চলে নতুন করে ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তারা পাল্টা হামলা চালাতে চাইছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা করছে। তবে রাশিয়ার এমন প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
কিয়েভে এক সম্মেলনে সিরস্কি স্বীকার করেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে অভিযান চালানোর একটি লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার সেনাদলগুলোকে সরানো।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রুশ বাহিনী ক্রমাগত ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা এখন পোকরোভস্ক থেকে প্রায় সাত মাইল (১১ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও পরিবহন খাতের জন্য পোকরোভস্ককে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রুশ বাহিনী এখন পোকরোভস্ক থেকে কুরাখোভ শহরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
সিরস্কি বলেন, ইউক্রেনের দখল করা দক্ষিণাঞ্চল থেকে কিছু সেনাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্য জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে রাশিয়া। তবে পোকরোভস্কে তারা তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে।
সিরস্কির অভিযোগ, রাশিয়া সরবরাহ লাইনগুলোতে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দোনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনীর অবস্থান জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তিনি কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের চালানো অভিযানকে ‘আত্মরক্ষামূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
জেলেনস্কি দাবি করেন, রাশিয়া যেন নতুন করে আর ইউক্রেনের জমি দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এমনটা করা হয়েছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা ইউক্রেনের নেই।
ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে বড় ধরনের হামলা শুরু করার পর জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ক্রিভি রিহ শহরের একটি হোটেলে হামলা হয়। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। জাপোরিঝঝিয়া শহরে ড্রোন হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলছে, রাশিয়া ৮১টি ড্রোন ও ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তারা ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৬০টি ড্রোন ধ্বংস করতে পেরেছে।