ঔপন্যাসিক বারবারা টেইলর ব্র্যাডফোর্ড মারা গেছেন

বারবারা টেইলর ব্র্যাডফোর্ড ও তাঁর স্বামীফাইল ছবি: এএফপি

ব্রিটিশ-আমেরিকান ঔপন্যাসিক বারবারা টেইলর ব্র্যাডফোর্ড মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। সোমবার বাববারার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রকাশক প্রতিষ্ঠান হার্পার কলিন্স। তারা জানিয়েছে, ‘কিছুদিন অসুস্থ’ থাকার পর রোববার নিজ বাড়িতে মারা যান বারবারা।

হার্পার কলিন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) চার্লি রেডমাইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তিনি (বারবারা) সত্যিকার অর্থে ব্যতিক্রমী একজন লেখক ছিলেন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য উইমেন অব সাবস্ট্যান্স’ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলেছিল। এ বই অনেকের জীবন বদলে দিয়েছিল। বইটি আজও যাঁরা পড়েন, তাঁদের জীবনকে বদলে দেয়।’

প্রথম উপন্যাস ‘দ্য উইমেন অব সাবস্ট্যান্স’ দিয়ে ব্র্যাডফোর্ড দুনিয়াজোড়া খ্যাতি লাভ করেন বারবারা। তাঁর মোট উপন্যাসের সংখ্যা ৪০টি। সবগুলো উপন্যাসই সারা বিশ্বে বিপুল পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। বারবারার সর্বশেষ উপন্যাস বের হয়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে। উপন্যাসটির নাম ‘দ্য ওন্ডার অব ইট অল’।

বারবারা যুক্তরাজ্যের লিডস শহরে বেড়ে ওঠেন। মাত্র সাত বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন তিনি। ১০ বছর বয়সে একটি সাময়িকীতে নিজের প্রথম ছোট গল্প বিক্রি করে আয় শুরু করেন। আর ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যম ইয়র্কশায়ার ইভিনিং পোস্টে।

টাইপ রাইটার হিসেবে সংবাদমাধ্যমটিতে চাকরি শুরু করলেও এক বছর পর সেখানে প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব নেন বারবারা। ১৮ বছর বয়সে সংবাদপত্রটির প্রথম নারীবিষয়ক সম্পাদক হন। ২০ বছর বয়সে তিনি লন্ডনে চলে যান। সেখানে ফ্লিট স্ট্রিটে একজন কলামিস্ট ও সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন তিনি।

১৯৬১ সালে হলিউড চলচ্চিত্র প্রযোজক রবার্ট ব্র্যাডফোর্ডের সঙ্গে বারবারার পরিচয় হয়। এই পরিচয় ভালোবাসার সম্পর্কে গড়ায়। দুই বছর পর ১৯৬৩ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। পরের বছর ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে যান এই দম্পতি। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ব্র্যাডফোর্ডের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৫৫ দুজন একসঙ্গে ছিলেন।