বিশ্লেষণ
সমানে সমান লড়াইয়ে থমকে আছে ইউক্রেন যুদ্ধ
আপাতত মস্কোর লক্ষ্য যুদ্ধক্ষেত্রে অচলাবস্থা টিকিয়ে রাখা।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেস ও ন্যাটো সহায়তা ছাড় না দেওয়ায় বিপাকে ইউক্রেন।
২০২৪ সালেই ইউক্রেন যুদ্ধ পরিণতির দিকে যাবে বলে অনেকের আশা।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ৬৭৪ দিন পেরিয়েছে গতকাল শুক্রবার। ভাবা হয়েছিল, পশ্চিমা সাহায্যপুষ্ট ইউক্রেন ২০২৩ সালে নভেম্বর-ডিসেম্বরে শীত জেঁকে বসার আগেই সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছে যাবে। কিন্তু তার সেই পাল্টা হামলা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়নি। উল্টো অর্থ ও সমরাস্ত্রের অভাব সেখানে এতটাই প্রকট হয়ে উঠেছে যে, কোনো কোনো মহলে বলা শুরু হয়েছে, রাশিয়াকে কাবু করা তার পক্ষে আর সম্ভব নয়। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে, বিশেষত ইউরোপীয় মিত্রদের অনেকে বলতে শুরু করেছে, ইউক্রেনের উচিত হবে একটা সম্মানজনক শান্তিচুক্তি করার জন্য এগিয়ে আসা।
অন্যদিকে মস্কোও যে খুব বেশি স্বস্তিতে আছে, তা কিন্তু নয়। যুদ্ধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের আগে যে ইউক্রেনীয় ভূমি রাশিয়া দখল করেছিল, সেখানেই তারা থমকে আছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ, অনেক লোকলস্কর তাদের, অনেক সহজেই তার ইউক্রেনকে কাবু করার কথা। সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়ে মস্কো এখন ভাবছে, যতটুকু হাতানো গেছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাই শ্রেয়। মনে হচ্ছে আপাতত মস্কোর লক্ষ্য যুদ্ধক্ষেত্রে অচলাবস্থা টিকিয়ে রাখা। এই যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ী হবে, পশ্চিমা জোটের রুশবিরোধী অবস্থান তত শিথিল হবে। জোটের সদস্যদের মধ্যে এই অসন্তোষকে আরও উসকে দেওয়ার জন্যই সম্ভবত মস্কো ইঙ্গিত দিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে তারা আগ্রহী। শান্তির ব্যাপারে তাদের আগ্রহের অবশ্য অন্য কারণ, এই যুদ্ধে মস্কোর অভাবনীয় ক্ষয়ক্ষতি। সে কথায় পরে আসছি।
রাশিয়ায় পাল্টা হামলা চালিয়ে ইউক্রেন সুবিধা করতে না পারলেও রাশিয়ার অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পেরেছে। তাদের এখন অর্থ ও সমরাস্ত্রের অভাব। রাশিয়ারও অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষয়ক্ষতি কম নয়। পুতিন ইউক্রেনের দখল করা এলাকা ধরে রেখে যুদ্ধের সমাপ্ত চান। তবে আগামী মার্কিন নির্বাচন পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ টেনে নিতে বদ্ধপরিকর। কারণ, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রই যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেবে।
ইউক্রেনের পাল্টা হামলা কেন ব্যর্থ
সমরবিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন, ইউক্রেন যে তার সামরিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়নি, তার দুটি মুখ্য কারণ রয়েছে। প্রথমত, অবাস্তব সম্ভাবনার কথা বলে ইউক্রেন দেশের ভেতরে ও বাইরে কল্পিত সাফল্যগীতি ফেঁদেছিল, যার ফলে রুশ হামলা মোকাবিলায় লক্ষণীয় সাফল্য সত্ত্বেও অনেকের মনে এই যুদ্ধে তার বিজয়ের ব্যাপারে সন্দেহ জেগেছে। এই সন্দেহ বিশেষত সেসব পশ্চিমা সমর্থকের মধ্যে বেশি, যারা ইউক্রেনে নিজেদের ‘বিনিয়োগের’ দ্রুত ফায়দা পেতে উদ্গ্রীব।
দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার সফল প্রতিরোধব্যূহ। গত বছরের গোড়ার দিকে বিপর্যয়ের পর মস্কো তার রণকৌশল দ্রুত বদলে নেয়। অতিরিক্ত ইউক্রেনীয় জমি দখলের পরিবর্তে যে জমি তারা দখল করেছে, সেটার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় তারা মনোযোগ দেয়। নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের নেতৃত্বে রাশিয়া তিন স্তরে প্রতিরোধব্যূহ গড়ে তোলে। এর অন্যতম ছিল অগ্রবর্তী সীমান্ত বরাবর মাইন বিছিয়ে একটি প্রায়-অপ্রতিরোধ্য প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ। এই দেয়াল টপকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ইউক্রেনকে ব্যাপক সামরিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে, কিন্তু রুশ বাহিনীকে টলানো যায়নি।
ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি নিজে সম্প্রতি ইকোনমিস্ট সাময়িকীতে এক দীর্ঘ রচনায় ও সাক্ষাৎকারে এই ব্যর্থতার সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মোদ্দা বক্তব্য হলো, রাশিয়াকে মোকাবিলার জন্য যে সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত সমর্থন তাঁদের প্রয়োজন, সেটা তারা পায়নি। ইউক্রেনের প্রধান সমস্যা দুর্বল বিমান প্রতিরক্ষা। দিচ্ছি-দেব বলে অনেক কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক সমরবিমান তাঁরা পাননি। ইউক্রেনের ন্যাটো সমর্থকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ না পাওয়ায় তাঁদের সেনাবাহিনীর পক্ষে অর্থপূর্ণ পাল্টা হামলা চালানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া সীমিত লোকবল ও প্রশিক্ষণের অভাবেও তাঁদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
জালুঝনি স্বীকার করেছেন, মার্কিন সামরিক সাহায্য ব্যবহার করে তাঁরা রাশিয়ার অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে পেরেছেন—এটা সত্য। কিন্তু বর্তমানে তাদের কাছে যে সমরাস্ত্রের রসদ রয়েছে, তা দিয়ে রাশিয়াকে পরাস্ত করা সম্ভব নয়।
এ পর্যন্ত সীমিত সামরিক শক্তি নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন যে সাফল্য পেয়েছে, সেটাও কম নয়। যুদ্ধটা চলছে সাবেকি কায়দায়, অর্থাৎ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় দুই পক্ষ যেমন একে অন্যের মুখোমুখি লড়াই করত, সেই রকম। এই যুদ্ধে যার লোকবল ও রসদ বেশি, জয় তারই হওয়ার কথা। এই কায়দায় তার পক্ষে জয় সম্ভব নয় বুঝতে পেরে ইউক্রেন নজর দিয়েছে প্রধানত ড্রোন ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর। এই কাজে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে তাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার পর রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার ঘটনাও বেড়েছে অনেক। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, রাশিয়ার নৌবাহিনীর ওপর হামলায় তাদের নাটকীয় সাফল্য। ফরাসি ক্রুজ ও মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন এ পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সপ্তাহেই ক্রিমিয়ায় অবস্থানরত রুশ অবতরণতরি নভোচেরকাস্ককে তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। মস্কো নিজে স্বীকার করেছে, তাদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইউক্রেনের জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে অর্থের টানাটানি। যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রধান ঢাল, তারাই অর্থ ও অস্ত্র জুগিয়ে এই লড়াইকে সমানে সমান করে রেখেছে। এখন তাদের সেই অর্থের জোগান ফুরিয়ে এসেছে। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অনুরোধ অনুযায়ী অনুদান জোগাতে অস্বীকার করেছে। হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে ন্যাটোর কাছ থেকেও থোক অনুদান আর আসছে না। ওয়াশিংটনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার কোনো রাখঢাক ছাড়াই বলেছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা সাহায্য বন্ধ হলে রাশিয়ার জয় অবধারিত।
সুবিধাজনক অবস্থায় রাশিয়া
নিজের ভবিষ্যৎকে বন্ধক দিয়ে যুদ্ধে নেমেছে রাশিয়া। শুধু পরাশক্তি হিসেবে নিজের স্থান পোক্ত হওয়াই নয়, এই যুদ্ধের ফলাফলের ওপর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে। এই যুদ্ধে তার প্রতিপক্ষ শুধু ইউক্রেন নয়, পুরো পশ্চিমা বিশ্ব। পুতিন অহংকার করে বলতেই পারেন, এত এত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এখনো তিনি কেবল দাঁড়িয়েই নেই, লড়াইয়ে তিনি জিতেও আছেন।
কিন্তু এই আপাত–জয়ের মূল্য কী? রাশিয়ার কাছ থেকে সে সত্য আদায়ের উপায় নেই, সেখানে সবই কর্তার ইচ্ছায় কাজ। ফলে আমাদের সত্য খুঁজতে নির্ভর করতে হচ্ছে পশ্চিমা সূত্রের ওপর।
মার্কিন তথ্যানুসারে, গত ২২ মাসে এ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার সৈন্য হতাহত হয়েছে। ট্যাঙ্ক খোয়া গেছে প্রায় ২ হাজার ২০০, সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস হয়েছে যুদ্ধপূর্বকালে মজুত গাড়ির দুই-তৃতীয়াংশ। এই অভাবনীয় ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও রাশিয়ার লোকবলে বা অস্ত্রবলে খুব কমতি পড়েছে, তা–ও মনে হয় না।
মস্কো গত বছর ১৫ লাখ নতুন সৈন্য সংগ্রহের ঘোষণা দেয়। জেলখানার দাগি আসামি এনেও সেনাঘাটতি মেটানোর চেষ্টা হয়েছে, যদিও তাদের অধিকাংশ ‘কামান খাদ্যে’ পরিণত হয়েছে। পুরো অর্থনীতিকে সমর-উপযোগী করে গড়ে তোলায় পশ্চিমের তুলনায় অনেক দ্রুত গোলাবারুদ ও সাঁজোয়া বহর যুদ্ধের ময়দানে পাঠানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকেও মস্কো বিস্তর গোলাবারুদ ও ড্রোন সংগ্রহ করেছে।
তারপরও এই যুদ্ধ সামলাতে রাশিয়াকে বড় রকমের ধাক্কা খেতে হয়েছে। দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতি—সবকিছুর কেন্দ্রেই যুদ্ধখাত। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের স্লোগান, ‘সবকিছু যুদ্ধের জন্য’, রাশিয়ায় আবার তা ফিরে এসেছে। রাশিয়ার প্রস্তাবিত পরবর্তী বাজেট অনুসারে, আগামী বছর মোট রাজস্ব আয়ের এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় ১০ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার যুদ্ধ খাত বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে। এর ফলে যুদ্ধ হয়তো সামাল দেওয়া যাবে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়ার অর্থনীতি চরম সংকটে পড়বে।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায় রাশিয়ার চলতি বাণিজ্যের ৮০ শতাংশই এখন চীন, ভারত ও ইরানকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। বিশ্বব্যাংক বলছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২২ সালে রাশিয়ার অর্থনীতি ২ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালে অর্থনীতির এই নিম্নগতি বাড়বে বৈ কমবে না। অথচ যুদ্ধের আগে ভাবা হয়েছিল, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হারে বাড়বে।
রাশিয়া তেল-গ্যাস রপ্তানির ওপর টিকে আছে। সেই জ্বালানি রপ্তানির পরিমাণ গত বছর এক-চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে পশ্চিমে রক্ষিত রাশিয়ার প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার আটকে দেওয়া হয়। এখন কথা চলছে, এই অর্থ ইউক্রেনকে তার ভাঙা অর্থনীতি জোড়া লাগাতে অনুদান হিসেবে দিয়ে দেওয়া হবে।
নতুন ভাবনা
ফুটবলের ভাষায় বলতে গেলে যুদ্ধের চলতি যে হাল, তা হলো ‘ড্র’ (সমান সমান)। দুই পক্ষই ১-১ গোলে থমকে আছে। এই অবস্থা থেকে সরে আসার জন্য মস্কো ও ওয়াশিংটন—দুই পক্ষই নতুন কৌশল অনুসরণের কথা ভাবছে।
নিউইয়র্ক টাইমস–এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিভিন্ন সূত্রে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে যুদ্ধ যেখানে থমকে আছে, সেই সীমান্ত বরাবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে তিনি আগ্রহী। এটি অবশ্য নতুন প্রস্তাব নয়, গত বছর ইউক্রেনের নাটকীয় সাফল্যের পর মস্কো থেকে এই একই প্রস্তাব এসেছিল। ইউক্রেন অবশ্য সে প্রস্তাব আসামাত্রই তা বাতিল করে দেয়। হারানো জমি পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন, সে কথা বিবেচনা করে বাইডেন প্রশাসন ভিন্ন কৌশল অনুসরণের কথা ভাবছে। পেন্টাগনের যুদ্ধবিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পাল্টা আক্রমণের বদলে ইউক্রেনের উচিত হবে আত্মরক্ষামূলক রণকৌশল গ্রহণ করা। ইতিমধ্যে যে জমি তারা উদ্ধার করেছে, উচিত হবে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
মার্কিন ওয়েব পত্রিকা পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কোনো শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অবস্থা যাতে দুর্বল না হয়, সে জন্য এই পথ পরিবর্তন প্রয়োজনীয়। প্রশাসনের একজন মুখপাত্রের কথা উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি জানিয়েছে, যে যা–ই বলুক, এই যুদ্ধের সমাপ্তি যুদ্ধের ময়দান নয়, আলাপ-আলোচনার টেবিলেই হতে হবে।
নতুন বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালেই ইউক্রেন যুদ্ধ পরিণতির দিকে যাবে—এ কথা কেউ কেউ বলছেন। যুদ্ধের ময়দানে নয়, ময়দান থেকে বহুদূরে যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন মানুষ অথবা সরকারের সিদ্ধান্তেই সম্ভবত সেই পরিণতি নির্ধারিত হবে। এই অসম্পৃক্ত ব্যক্তিদের একজন হলেন আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় এলে এক দিনে তিনি যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন।
অনুমান করি, প্রেসিডেন্ট পুতিন সেই হিসাব মাথায় রেখে যেভাবেই হোক আগামী নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচন পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।