ইউক্রেনে সরকার উৎখাতচেষ্টা, অভিযোগ রাশিয়ার দিকে

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিফাইল ছবি: এএফপি

সরকার উৎখাতের একটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার জানান, এ ষড়যন্ত্রের পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে। বার্তা আদান–প্রদান করার মাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ দাবি করেছে, অভ্যুত্থান আয়োজকেরা গত ৩০ জুন কিয়েভে বড় আকারের দাঙ্গা বাধানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ইউক্রেনের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ও ক্ষমতা থেকে সেনা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আড়াল করার জন্যই ওই দাঙ্গার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

এ দাঙ্গা ও পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ষড়যন্ত্রের পেছনে রাশিয়ার কোনো হাত আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে এসবিইউ বলছে, তারা সন্দেহভাজন চারজনকে শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে দুজন তাদের হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া এ ঘটনায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে এসবিইউ। একই সঙ্গে মুঠোফোন, কম্পিউটারসহ অন্য রেকর্ড তাদের হাতে রয়েছে, যা অপরাধ কার্যক্রমের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় বলছে, কথিত অভ্যুত্থানের চেষ্টায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি দুই হাজার লোক জড়ো করা যায়, এমন একটি বড় মিলনায়তন ভাড়া নিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি সামরিক ও বেসামরিক কোম্পানিকে কর্মরত সশস্ত্র প্রহরীদের নিয়োগ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা পার্লামেন্টের দখল নিতে পারেন।

এসবিইউ জানিয়েছে, অপরাধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে মূল সংগঠক বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়োগ করেছিল। কিয়েভ, নিপ্রো ও অন্যান্য অঞ্চলের লোকজনকে এ কাজে যুক্ত করা হয়েছিল।

পশ্চিমা অস্ত্র নির্ভরশীলতা, যুদ্ধক্ষেত্রের সেনা ও গোলাবারুদ ঘাটতিতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ইউক্রেন। সম্প্রতি এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়া যখন ধীরে ধীরে এগোচ্ছে, তখনই অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সামনে এল।

এদিকে গত শনিবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ভিলনিয়ানস্কে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিন শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর জন্য পশ্চিমা মিত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ পরিস্থিতিতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান কিয়েভ সফর করছেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি সম্ভাবনা ও কিয়েভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।