ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ চলছে, গ্রেপ্তার ১৫০
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত হওয়ার জেরে বিক্ষোভ চলছেই। গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাতভর বিক্ষোভ হয়েছে। বিভিন্ন শহর থেকে অন্তত ১৫০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিভিন্ন শহরের টাউন হল, বিদ্যালয় ও পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে হামলা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তিনি একে ‘ভয়াবহ সহিংসতা’ অভিহিত করেছেন। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ আজ বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসি প্যালেস এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ এ ঘটনাকে ‘ক্ষমার অযোগ্য’ অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কোনোভাবেই এ ঘটনাকে ‘সমর্থন করা যায় না’।
গত মঙ্গলবার প্যারিসের তল্লাশিচৌকিতে ১৭ বছর বয়সী নাহেল নামের এক কিশোর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নির্দেশনা না মেনে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই কিশোরকে গুলি করা হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের দুজন কর্মকর্তা গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের একজন গাড়ির জানালা দিয়ে চালকের দিকে অস্ত্র তাক করেন। চালক গাড়ি চালানো শুরু করলে খুব কাছ থেকে গুলি করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। কয়েক মিটার দূরে গিয়ে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে।
চলতি বছর ফ্রান্সের ট্রাফিক তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে এ নিয়ে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। গত বছর এ ধরনের ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩।
পুলিশের গুলিতে নিহত কিশোর নেহালের এক প্রতিবেশীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তার পরিবার এসেছে আলজেরিয়া থেকে।
রয়টার্স আরও জানায়, তাদের হিসাবে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে যত মানুষ নিহত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই কৃষ্ণাঙ্গ অথবা আরব বংশোদ্ভূত।