নাভালনির মৃত্যুতে যা বলছেন বাইডেন, ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস
রাশিয়ার কারাগারে দেশটির বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর আগে বিভিন্ন মাধ্যমে নাভালনির মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাভালনিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর দাবি, নাভালনির কারাদণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেননি।
ট্রুথ সোশ্যাল নামে ট্রাম্প যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অ্যালেক্সি নাভালনির আকস্মিক মৃত্যু আমাকে আমাদের দেশে কী ঘটছে, সে সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন করে তুলেছে।’
নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও নাভালনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করতে পিছপা হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কারাগারে নাভালনির মৃত্যু প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা জানি না ঠিক কী ঘটেছে, কিন্তু এতে কোনো সন্দেহ নেই যে নাভালনির মৃত্যু পুতিন ও তাঁর বাহিনী যা করেছে, তারই পরিণতি। সৃষ্টিকর্তা অ্যালেক্সি নাভালনির প্রতি সহায় হোন। আর নাভালনির সাহসিকতা মানুষ ভুলবে না।’
নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া ইউলিয়াসহ তাঁর পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। নাভালনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘তারা (রাশিয়া) যে গল্প বলছে, সেটা আমাদের পরিষ্কার হতে দিন। রাশিয়া এর জন্য দায়ী।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যু আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে পুতিন ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে গেলে কী নজিরবিহীন নির্মম পাশবিকতার শিকার হতে হয়।’
নাভালনি ছিলেন পুতিনের সবচেয়ে বড় সমালোচক। তাঁকে পুতিনের অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ৩০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করতে দেশটির সাইবেরিয়া অঞ্চলের একটি কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে ছিলেন এই বিরোধী নেতা। গত শুক্রবার কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কারাগারে মারা গেছেন ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মতে, পুতিনের বিরুদ্ধে যাওয়ায় নাভালনির ৩০ বছরের সাজা হয়েছে।