মেক্সিকো সীমান্তে ইউক্রেন–রাশিয়ার নাগরিকের বিয়ে
ইউক্রেনে বসবাস ছিল রুশ নাগরিক সেমেন বোবরোভস্কির। বসবাসের সূত্রে তাঁর পরিচয় হয় ইউক্রেনের নাগরিক দারিয়া সাখনিউকের সঙ্গে। একপর্যায়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইচ্ছা ছিল রাজধানী কিয়েভে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন তাঁরা। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর বিয়ে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যান সাখনিউক ও বোবরোভস্কি। এ অবস্থায় তাঁরা পাড়ি জমান মেক্সিকোতে। উদ্দেশ্য ছিল মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবেন।
বিবিসির খবরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিধির কারণে সেখানেও বিপত্তিতে পড়েন তাঁরা। কিন্তু এই বিপত্তি তাঁদের বিয়েতে আর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অনেক ঝক্কি পেরিয়ে অবশেষে গত বুধবার মেক্সিকোর সীমান্ত শহর তিজুয়ানাতে ছোট আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন সাখনিউক ও বোবরোভস্কি।
টিভি নেটওয়ার্ক টেলিমুন্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাখনিউক বলেন, ‘খুব দারুণ কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। এসব মানুষই মেক্সিকোর তিজুয়ানা শহরে আমাদের বিয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর মারিয়াচি ব্যান্ডের তালে তালে সাখনিউকের ২৭তম জন্মদিন উদ্যাপন করা হয়েছে। মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী তাকুইজা পার্টিরও আয়োজন ছিল সেখানে।
তিজুয়ানা পৌর কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে সাখনিউক ও বোবরোভস্কি শরণার্থী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার উদ্দেশ্যে মেক্সিকোতে পৌঁছান। তবে সাখনিউক যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারলেও বোবরোভস্কির সে সুযোগ নেই। কেবল যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয় নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারছেন।
তবে এখন সাখনিউক ও বোবরোভস্কি বিবাহিত। এ নবদম্পতির আশা, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে যেতে দেওয়া হবে এবং নিউইয়র্কে তাঁরা পুনর্বাসিত হতে পারবেন।