এক দশক পর প্লাস্টিক বর্জ্য সামাল দিতে পারবে না বিশ্ব

প্লাস্টিক বর্জ্যরয়টার্স

প্লাস্টিক উৎপাদন ঠেকাতে দেশগুলো সম্মত না হলে এখন থেকে এক দশক পরে বিশ্ব বিশাল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য সামাল দিতে পারবে না। বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরুর আগে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর একটি জোটের সহসভাপতি এ কথা বলেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আজ শুরু হচ্ছে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ আলোচনা। প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে বৈশ্বিক চুক্তির বিষয়ে এখানে আলোচনা হবে। এ সম্মেলনের আগে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরেইম প্লাস্টিক উৎপাদনকারী দেশ ও অন্য দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। রুয়ান্ডা ও নরওয়ের নেতৃত্বাধীন ৬০টির বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। এ দেশগুলো প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার পক্ষে। তারা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে চায়।

নরওয়ের এই মন্ত্রী মনে করছেন, তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মতো বিরোধী শক্তির কারণে নিখুঁত চুক্তি সম্ভব না–ও হতে পারে। তবে তিনি আশা করছেন, এমন একটি চুক্তিতে তাঁরা পৌঁছাতে পারবেন, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে।

টিভিনেরেইম বলেন, ‘আমরা নিখুঁত চুক্তি করতে পারব না। কিন্তু আমাদের আরও এগিয়ে যাওয়া দরকার। আমি মনে করি, আমরা তা পারব। আমি আশাবাদী হতে পছন্দ তরি। উচ্চাকাঙ্ক্ষী জোটের দেশগুলোকে নিয়ে আমরা দেখিয়ে যাব যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক দেশ একসঙ্গে রয়েছে। এখন বিশ্বের একটি নেতৃত্ব ও ভালো খবর প্রয়োজন।’

এ বছর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পরীক্ষা করা প্রতিটি গর্ভের নমুনায় ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার (মাইক্রোপ্লাস্টিক) উপস্থিতি রয়েছে। প্রতিটি মানুষের ধমনিতে এটি পৌঁছে গেছে। এর সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সূত্র পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক সংকট মানবস্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ুর জন্য হুমকি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্লাস্টিকের পুরো জীবনচক্রকে মোকাবিলা করতে বৈশ্বিক চুক্তির জন্য আলোচনার জন্য ১৭৫টি দেশে ঐতিহাসিক চুক্তির দুই বছর পর এখনো প্রতিনিধিরা করণীয় নিয়ে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্লাস্টিক শিল্প খাত বাতিল নিয়ে অগ্রগতি সামান্য। গত এপ্রিলে এ নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টিও ব্যর্থ হয়েছে। আজ সোমবার থেকে এ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হচ্ছে, যা ১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা।