হংকংয়ে নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত ধনাঢ্য গণমাধ্যমমালিক জিমি লাই
হংকংয়ে ‘মিডিয়া মোগল’ হিসেবে পরিচিত জিমি লাইকে গতকাল শুক্রবার বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীন অভিযুক্ত করা হয়েছে। শহরটিতে গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের ওপর চীনের দমন অভিযান চলার মধ্যে তাঁকে অভিযুক্ত করার এ ঘটনা ঘটল। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হংকংয়ে চলমান গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক ও চীন সরকারের সমালোচক লাইকে (৭৩) বর্হিশক্তির সঙ্গে আঁতাত করা এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়ার সন্দেহে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে হংকং পুলিশ জানিয়েছে।
বিতর্কিত ওই আইনের অধীন হংকংয়ে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, লাই তাঁদের সবার শীর্ষে। গত জুনে বেইজিং হংকংয়ের ওপর এ আইন চাপিয়ে দেয়। কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত করার মতো অপরাধে আইনটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
লাইকে গত আগস্টে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তাঁর মালিকানাধীন গণতন্ত্রের সমর্থক ট্যাবলয়েড পত্রিকা অ্যাপল ডেইলির কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় প্রায় ২০০ পুলিশ। জব্দ করে নথিপত্রভর্তি বেশ কিছু বাক্স। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে নিজ বাসায় সিএনএনের সঙ্গে এক আলাপে লাই বলেছিলেন, তিনি বছরের পর বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। তিনি এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। কেননা, স্বাধীনতা ছাড়া একজনের কাছে কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকার নয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পৃথক কয়েকটি অভিযোগে লাই তাঁর গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে জামিন আবেদন করেন। তবে তা নাকচ করে দেন হংকংয়ের আদালত। তখন থেকে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।
চীন সমর্থিত হংকংয়ের সরকার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছে, শহরটিতে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।