যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যাবে চীন
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ২০২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যাবে চীন। বিশ্বের সবচেয়ে অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ হবে চীন। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের বরাত দিয়ে এনডিটিভি ওই প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে জানায়, বৈশ্বিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক শক্তির লড়াই।
করোনাভাইরাস মহামারি এবং এর ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অচলাবস্থার ক্ষতিকর প্রভাব যাবে চীনের অনুকূলে।
সিইবিআর বলছে, মহামারিতে চীনের দক্ষ ব্যবস্থাপনা, কঠোর লকডাউন, পশ্চিমা দেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে আঘাত দেশটির অর্থনীতিতে উন্নয়ন ঘটিয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চীনে গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৬ থেকে ২০৩০ বছরে এই লক্ষ্যমাত্রা কমে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমতে পারে। এরপর ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমতে পারে।
সিইবিআর আরও বলছে, ২০৩০ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত অর্থনৈতিক সূচকে জাপান বিশ্বের তৃতীয় দেশ হবে। তবে ভারত অর্থনীতিতে জাপানকে টপকে যেতে পারে। তেমনটা হলে জার্মানি হবে চতুর্থ বা পঞ্চম দেশ।
সিইবিআরের সূচকে অর্থনৈতিক সামর্থ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্য পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ২০২৪ সালে এটি ষষ্ঠ স্থানে চলে যেতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। তবে তারপরও ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ডলারে যুক্তরাজ্যের জিডিপি ফ্রান্সের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি থাকবে।
সিইবিআর বলছে, ২০২০ সালে শীর্ষ ১০ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ইউরোপের ১৯ শতাংশ অবদান ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের কারণে ২০৩৫ সালে এটি ১২ শতাংশে নেমে যেতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হবে। প্রবৃদ্ধি ধীর গতির হবে না।
কোভিড ১৯ মহামারির ধকল সামলাতে তহবিলের জন্য যেসব দেশ বেশি ঋণ নিয়েছে, তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলেও জানিয়েছে সিইবিআর।