নতুন কৌশলে এগোবে চীন
আগামী পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত টেকসই অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীন। এ সময়ে দেশটি আরও উচ্চতর মানের বৃদ্ধির উপর জোর দিতে চায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির সূত্রের বরাতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যরা গত সোমবার থেকে রুদ্ধদার বৈঠক করছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের ওই বৈঠকে দেশটির ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নীলনকশা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বাইরের পরিবেশ দিন দিন জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশের উন্নয়নকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলের সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চীন তাদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়িয়ে ২০৩৫ সালের মধ্যে মধ্যম উন্নত দেশের কাতারে নিতে চায়। চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সংস্কার চালিয়ে বাজার শক্তিকে জোরদার করতে চায়। এ ক্ষেত্রে দেশটি ‘ডুয়েল সার্কুলেশন’ মডেল গ্রহণ করবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশটি এবং তা উন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এতে স্থানীয় চাহিদা ও জোগান প্রচেষ্টা বাড়িয়ে সরবরাহ খাতেও পরিবর্তন আনবে।
গত মে মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট ডুয়েল সার্কুলেশন মডেলের প্রস্তাব দেন। এতে চীনের পরবর্তী ধাপের উন্নয়ন মূলত স্থানীয় পুনরাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল। এতে দেশটির অভ্যন্তরে এমন প্রক্রিয়া চালু করা হবে, যাতে উৎপাদন, সরবরাহ ও ভোক্তার বিষয়টি স্থানীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।