চীনে এখন তিন সন্তান নীতি
চীনের সংশোধিত পরিবার পরিকল্পনা আইন অনুযায়ী দেশটির দম্পতিরা তিনটি করে সন্তান নিতে পারবেন। জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ আইন পাস করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) বৈঠকে এ আইন পাস করা হয়।
বৈঠকে হংকংয়ের বিরুদ্ধে বিতর্কিত একটি আইনের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে হংকংয়ের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ওই সিদ্ধান্ত আপাতত পেছানো হয়েছে।
চীনে তিন সন্তান নীতির বিষয়ে গত মে মাসেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন সন্তান নীতিটি আইনে পরিণত করার পাশাপাশি বৈঠকে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে ‘সামাজিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি’ বাতিল করা—দম্পতিরা বেঁধে দেওয়া সীমার বাইরে সন্তান নিলে এ ফি দিতে হতো। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারকে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করা, নারীদের কর্মসংস্থানের অধিকার বৃদ্ধি করা এবং শিশু যত্নের অবকাঠামো উন্নত করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চীনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর আগে কঠোর পরিবার পরিকল্পনা নীতির মধ্য দিয়ে গেছে চীন। ৪০ বছর ধরে দেশটিতে এক সন্তান নীতি ছিল। এই নীতি থেকে ২০১৬ সালে বেরিয়ে আসে চীন। এরপর থেকে দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারতেন। অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও জনশক্তির কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
চীনে ১৯৬০-এর দশকের পর সন্তান জন্মের হার বর্তমানে সবচেয়ে কম। দেশটির ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস গত এপ্রিল মাসে জানিয়েছে, গত বছর দেশটিতে ১ কোটি ২০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে। ২০১৬ সালে দেশটিতে ১ কোটি ৮০ লাখ শিশুর জন্ম হয়।