তৃতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করে সি বললেন, চীনকে বিশ্বের প্রয়োজন
চীনে ঐতিহাসিকভাবে তৃতীয় মেয়াদে নেতৃত্ব নিশ্চিত করলেন সি চিন পিং। তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক মাও সে-তুংয়ের পরই সির অবস্থান পোক্ত হলো। মাও গণপ্রজাতান্ত্রিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা।খবর এএফপির।
আজ রোববার চীনা কমিউনিস্ট দলের কেন্দ্রীয় কমিটি আবারও সিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছে।
নির্বাচিত হওয়ার পর সি চিন পিং গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, ‘চীনকে বিশ্বের প্রয়োজন। চীন বিশ্বকে ছাড়া উন্নতি করতে পারবে না। আবার বিশ্বেরও চীনকে প্রয়োজন।’
২০তম কংগ্রেসে নতুন পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা হলেন সি চিন পিং, লি কিয়াং, ঝাও লেইজি, ওয়াং হুনিং, কাই কি, ডিং জুয়েজিয়াং ও লি জি মিট। বেইজিংয়ে গ্রেট হলে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কমিটিতে সির ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মিত্র রয়েছেন।
সাবেক সাংহাই কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান লি কিয়াং গ্রেট হল অফ পিপলের মঞ্চে প্রেসিডেন্ট শি'র পেছনে ছিলেন। আগামী মার্চে লি কেকিয়াং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন।
কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে সি চিন পিং আরও বলেন, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর আমরা দুটি অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছি। এর একটি হলো দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দীর্ঘস্থায়ী সামাজিক স্থিতিশীলতা।
চীনের প্রেসিডেন্ট তাঁর দলের ওপর জনগণের আস্থা প্রমাণ করতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দেন।
চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের প্রধান হিসেবেও পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন সি।
দলের ২০০ জ্যেষ্ঠ নেতাকে নিয়ে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করে কংগ্রেস। আজ সি এবং দলের পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের নির্বাচিত করতে তাঁরা সমবেত হন।
লি আগামী বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ওই মাসেই সরকারের বার্ষিক আইনসভার অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের তৃতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সি চিন পিংয়ের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
এক সপ্তাহ ধরে কংগ্রেসে সি চিন পিংকে নেতা হিসেবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলে। দলের ২ হাজার ৩০০ প্রতিনিধি সিকে নেতৃত্বে রাখার বিষয়ে অনুমোদন দেন। প্রতিনিধিরা ব্যাপক রদবদলের বিষয়টিও অনুমোদন করেন।
সি ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপতির দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার নিয়ম বাতিল করে দেন। এতে অনির্দিষ্টকাল তাঁর ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত হয়।
২০তম কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে সি অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও জিরো কোভিড নীতির মতো দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবিলায় তাঁর দলের অর্জনের কথা তুলে ধরেন।