চীনের তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত ৫৩
চীনের তিব্বতের প্রত্যন্ত এলাকায় আজ মঙ্গলবার শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেশী দেশ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি।
সিইএনসি ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ বললেও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ ছিল বলে জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থলের (এপিসেন্টার) কাছের বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৬২ জন আহত হয়েছেন।
সকালের ওই ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলে একাধিকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। পরাঘাতের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে আরও বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ডিংরি কাউন্টির শহরতলিগুলোতে লোক পাঠানো হয়েছে।
তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এই কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত।
এই অঞ্চলে নিয়মিত ভূমিকম্প হয়। তবে গত ৫ বছরে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আজকের ভূমিকম্পই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী।
এদিকে কাঠমান্ডুর পাশাপাশি এভারেস্টের নিকটবর্তী নেপালের লোবুচের অঞ্চলের চারপাশের উচ্চ পর্বতমালায় কম্পন ও ভূমিকম্প পরবর্তী পরাঘাত অনুভূত হয়েছে।