পুরস্কারের লোভে ৪০০ ফোন নিয়ে লাইভে

প্রতীকী ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিওতে অনেক সময় পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। কপাল ভালো থাকলে যে কেউ পেয়ে যেতে পারেন পুরস্কার। অনেকেই এসব পুরস্কারের আশায় লাইভ ভিডিও দেখেন। তবে অতি আগ্রহী কাউকে ভিডিও দেখার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমন ঘটনাকে ব্যতিক্রমী বলাই চলে।

বিচিত্র এই ঘটনা ঘটেছে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে। সেখানকার একটি বাড়ির গ্যারেজে রীতিমতো ৪০০ মুঠোফোন সাজিয়ে বসেছিলেন মা নামের এক ব্যক্তি। পুরস্কারের লোভে ফোনগুলো দিয়ে একসঙ্গে ভিডিও লাইভ দেখতেন তিনি। এ ঘটনা গত আগস্টের। তবে সম্প্রতি তা সংবাদমাধ্যম চায়না নিউজউইকে প্রকাশের পর সামনে আসে।

বিষয়টি প্রথম জানাজানি হয় মায়ের গ্যারেজটি স্থানীয় এক পথচারীর চোখে পড়ার পর। গ্যারেজে শত শত ফোন দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান। অনলাইনে বড়সড় কোনো প্রতারণা চলছে, এমন সন্দেহে মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে ভিন্ন এক ঘটনা।

পুলিশ দেখতে পায়, লাইভ ভিডিও দেখার জন্য একসঙ্গে ৪০০টি ফোন ব্যবহার করতেন মা। এতে তাঁর পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা বাড়ত। তবে প্রতিটি ফোনে ব্যবহার করা আলাদা আলাদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো নিজে খোলেননি তিনি। অর্থের বিনিময়ে অন্যদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন।

এভাবে লাইভ ভিডিও দেখে নাকি বেশ লাভ হয়েছে মায়ের। সাধারণ নিত্যপণ্য থেকে প্রিন্টার এমনকি সর্বশেষ মডেলের আইফোনও জিতেছেন তিনি। ওই আইফোন পরে আবার বিক্রি করে দিয়েছেন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে। মা বলেন, লাইভ ভিডিও দেখে তিনি মাসে ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ ডলারের পুরস্কার জিতেছেন।

তবে এখন হয়তো মায়ের কারাভোগ করা লাগতে পারে। কারণ, যাঁদের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো কিনেছিলেন, সেগুলোয় ওই ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য ছিল। আর চীনা আইন অনুযায়ী, অন্য কারও ব্যক্তিগত তথ্য নিজের কাজে ব্যবহার করার জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে।