জিনজিয়াংয়ে ‘বিরল’ সফর, ঐক্যের ডাক সি চিন পিংয়ের
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ সপ্তাহে জিনজিয়াং সফর করেছেন। বিগত আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের উত্তর-পশ্চিমে একদা অশান্ত এই সীমান্ত অঞ্চলে ভ্রমণ করলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে চীন। খবর এএফপির।
শ্রমিকদের জোরপূর্বক কাজ করানো নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র জিনজিয়াং থেকে তুলা আমদানিও নিষিদ্ধ করেছে। তবে চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
চার দিনের সফরে জিনজিয়াংয়ে গিয়েছিলেন চিন পিং। গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার তিনি একটি তুলা চাষের এলাকা, একটি বাণিজ্য এলাকা, একটি জাদুঘর পরিদর্শন করেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি। সির জিনজিয়াং সফর শেষ হওয়ার পর সিসিটিভি ৩৪ মিনিটের একটি খবরে এসব তথ্য জানায়।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া সির একটি ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সির মুখে মাস্ক নেই। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। তাঁরা হাসছেন ও তালি দিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ উইঘুর বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এসব মানুষের পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী উইঘুর পোশাক। মাথায় ছিল টুপি।
জিনজিয়াংয়ের বাসিন্দাদের মন জয় ও তাঁদের ঐক্যবদ্ধ করতে স্থানীয়দের কথা শোনার জন্য সেখানকার কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন সি। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিয়মিত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন। এসব পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সি।
সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী সি চিন পিং বলেছেন, মুসলিমদের ধর্মীয় চর্চার বিষয়গুলো অবশ্যই চীনের সংবেদনশীলতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। এ ছাড়া জিনজিয়াংকে অবশ্যই ‘রাজনৈতিকভাবে নির্ভরযোগ্য’ ধর্মীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি দল তৈরি করতে হবে, যে দল ধর্মীয় চর্চার বিষয়গুলো দেখভাল করবে।
জিনজিয়াংয়ে বিক্ষিপ্তভাবে সরকারবিরোধী এবং চীনের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পর সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল বেইজিং। ২০১৮ সালে এসে জাতিসংঘ জানায়, জিনজিয়াংয়ে দশ লাখ মানুষকে বড় একটি বন্দিশিবিরে আটকে রেখে রাজনৈতিক দীক্ষা দেওয়া হচ্ছে।