২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রযুক্তি দিয়ে চুরি মন্দিরের টাকা

চীনা মুদ্রাফাইল ছবি: রয়টার্স

আধুনিক হচ্ছে বিশ্ব। চারদিকে প্রযুক্তির জয়জয়কার। এসব প্রযুক্তি যেমন ভালো কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তেমন অপরাধের হাতিয়ার বানাচ্ছেন অনেকে। যেমন বলা চলে চীনের এক চোরের কথাই। বৌদ্ধমন্দিরে দানের উদ্দেশে রাখা কিউআর কোড বদলে দিয়ে নিজের কিউআর কোড বসিয়েছেন তিনি। আর এভাবেই পকেটে ভরেছেন লাখ লাখ টাকা।

ওই চোর কিন্তু রীতিমতো শিক্ষিত। চীনের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর করেছেন। সম্প্রতি চুরির বিষয়টি সামনে আসার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে স্বীকার করেছেন, চলতি বছরে চীনের শানসি, সিচুয়ান ও চংকিং প্রদেশের বিভিন্ন মন্দির থেকে ৪ হাজার ২০০ ডলারের (প্রায় ৫ লাখ টাকা) বেশি হাতিয়েছেন তিনি।

ঘটনাটি সামনে আসে চলতি মাসে শানসি প্রদেশের পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের পর। তাতে দেখা যায়, প্রদেশের বাওজি শহরের ফামেন মন্দিরে গৌতম বুদ্ধের মূর্তির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর পাশেই দানবাক্স। সেখানে আরও অনেকেই ছিলেন। তবে সবার অগোচরে দানবাক্সে থাকা মন্দিরের কিউআর কোডের ওপর নিজের কিউআর কোড বসিয়ে দেন তিনি।

পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি বলেছেন, বিভিন্ন প্রদেশে একই কৌশলে মন্দিরের টাকা চুরি করেছেন তিনি। কিউআর কোড বদলে দেওয়ার ফলে কেউ মুঠোফোনের মাধ্যমে কোড স্ক্যান করে নিজের আর্থিক হিসাব থেকে মন্দিরে দান করতে চাইলে তা জমা হতো ওই চোরের ব্যক্তিগত সঞ্চয়ী হিসাবে। পুলিশ বলছে, চুরির সব অর্থ ফেরত দিয়েছেন গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি।

এদিকে এই চুরির ঘটনা নিয়ে চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ব্যাপক খোশগল্প চলছে। যেমন একজন মজা করে বলেছেন, ‘চীনে একটা প্রবাদ আছে যে সৃষ্টিকর্তা ওপর থেকে সবকিছু দেখছেন। তাই আমাদের খারাপ কাজ করা উচিত নয়। ওই প্রবাদ বদলে দিয়ে এখন বলা উচিত, সিসিটিভি ক্যামেরা ওপর থেকে সবকিছু দেখছে।’ আরেকজন বলেছেন, ‘আইনের ছাত্র হয়েও আইন ভাঙলেন তিনি।’