চীনের সামরিক মহড়া নিয়ে রাগ ঝাড়ল যুক্তরাষ্ট্র
তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়াকে উসকানিমূলক ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বলেছে হোয়াইট হাউস। খবর রয়টার্সের।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘এই কার্যকলাপগুলো তাইওয়ানের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চীনের প্রচেষ্টা। চীন উসকানিমূলক ও কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করছে। চীনের হিসাব-নিকাশে ভুল রয়েছে।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আরও বলেন, তাইওয়ানজুড়ে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে চীন বিরোধপূর্ণ আচরণ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
চীন পেলোসির এ সফরকে তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে মনে করছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার চীনের জাহাজ ও উড়োজাহাজগুলো তাইওয়ানের সীমানা পার হয়েছে। তাইওয়ানের যুদ্ধবিমানগুলো তাদের সতর্ক করেছে।
তাইওয়ানের সেনাবাহিনী চীনের এ মহড়াকে উসকানিমূলক হামলা বলেছে। এই সামরিক মহড়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বেইজিং। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাইওয়ান ঘিরে রোববার পর্যন্ত আকাশ ও জলপথে সামরিক মহড়া চালাবে চীন। চীনের বিরুদ্ধে উত্তেজনা বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছে ওয়াশিংটন।
বেইজিং আরও বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন, সামরিক পর্যায়ে আলোচনা, আন্তর্জাতিক অপরাধ দমনের প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগের মূল পথগুলো বন্ধ করার মধ্য দিয়ে চীন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ’ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
শুরু থেকেই তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বলে মনে করে চীন। খুব কম দেশই তাইওয়ানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চীনে গত শুক্রবার পেলোসি ও তাঁর পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।