চীন বাধ্যতামূলক পরিস্থিতিতে শেষ অবলম্বন হিসেবে তাইওয়ানের ওপর শক্তি প্রয়োগ করার অধিকার রাখে। যদিও চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সংযুক্তিকে শান্তিপূর্ণ করার বিষয়টিই চীনের প্রথম পছন্দ। শনিবার কমিউনিস্ট পার্টির এক মুখপাত্র এ কথা বলেছেন। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র সান ইয়েলি বলেন, চীন ও তাইওয়ানের পুনর্মিলন তাইওয়ানবাসীসহ সবার স্বার্থ পূরণ করে। কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্রের এ কথা চীনের প্রেসিডেন্টের কথার প্রতিধ্বনি। এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং অনেকবারই তাইওয়ানকে একীভূত করার কথা বলেছেন।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস শুরু হচ্ছে রোববার। এ কংগ্রেসে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, ৬৯ বছর বয়সী সি চিন পিংকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবার নির্বাচন করা হবে। এতে মাও সে-তুংয়ের পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা হিসেবে নিজের জায়গা পোক্ত করবেন তিনি।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানায়, দুই দিনের কংগ্রেস উপলক্ষে গতকাল থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ২ হাজার ২৯৬ জন আইনপ্রণেতা বেইজিংয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। এবারে সম্মেলনে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ধারাবাহিকতা, প্রজন্মগত পরিবর্তনের দিকে নজর দিচ্ছে দলটি। চীন বিশেষজ্ঞ আইনার তানজেন বলেন, এবারের সম্মেলনে ধারাবাহিকতা ও প্রজন্মগত পরিবর্তনের বিষয়টিকে মূল বিষয়বস্তু বলা হয়েছে।
এবারের কংগ্রেস এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে। এ ছাড়া চীনা সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথাও চিন্তাভাবনা করছে। বর্তমানে এ দুটি দেশ বিশ্বের শীর্ষ দুটি অর্থনীতির অধিকারী এবং তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে। এ ছাড়া তাইওয়ান প্রণালি ঘিরে এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে পশ্চিমাদের উসকানি হিসেবে উল্লেখ করেছে বেইজিং।