চীনা বেলুনটি ছিল ২০০ ফুট লম্বা, উড়োজাহাজ বহনের জায়গা ছিল: মার্কিন কর্মকর্তা
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ধ্বংস করা চীনা ‘নজরদারি’ বেলুনটি প্রায় ২০০ ফুট (৬০ মিটার) লম্বা ছিল। একটি আঞ্চলিক উড়োজাহাজ বহনের মতো জায়গা ছিল সেখানে। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এমন দাবি করেছেন।
দক্ষিণ ক্যারোলিনা উপকূল থেকে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ মিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলুনটির কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরও বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে বিশাল একটি বেলুন শনাক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বেলুনটি তাদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় নজরদারি করছিল। তবে চীনের দাবি, এটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী বেলুন। গত শনিবার বেলুনটি ধ্বংস করতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ বিমান অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত মার্কিন বিমানবাহিনীর এফ-২২ বিমান স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৩৯ মিনিটের দিকে বেলুনটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
গতকাল মার্কিন সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ড জেনারেল ভ্যানহার্ক বলেন, বেলুনটি শতাধিক ফুট লম্বা ছিল। বেলুনের যে অংশটিতে সরঞ্জাম রাখা যায় সেটির আকার ছিল একটি আঞ্চলিক উড়োজাহাজের সমান।
গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘তারা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সাগরের তলদেশে ধ্বংসাবশেষ খোঁজা সম্ভব হয়নি।’
জন কিরবি আরও বলেন, আসন্ন দিনগুলোয় সাগরের তলদেশেও অভিযান চালানো সম্ভব হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বেলুনের ধ্বংসাবশেষগুলো চীনকে ফেরত দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। গোয়েন্দা বিশ্লেষকেরা উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
মার্কিন সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ড জেনারেল ভ্যানহার্ক বলেন, বেলুন ধ্বংস করার এলাকায় কয়েকটি বিশেষ জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাগরে জরিপ পরিচালনার সক্ষমতাসম্পন্ন একটি জাহাজও আছে। এ জাহাজগুলো বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষের অবস্থান শনাক্ত করে থাকে।
ভ্যানহার্ক আরও বলেন, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বিস্ফোরকের মতো বিপজ্জনক কোনো উপকরণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বেলুন নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা চলার মধ্যে গত শুক্রবার লাতিন আমেরিকার আকাশেও একটি বেলুন শনাক্ত হয়। ইতিমধ্যে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন এটিও চীনা বেলুন।